empty
 
 
06.08.2025 08:17 AM
৬ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। EUR/USD পেয়ারের মতোই, কেবল একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডারদের মনোভাব প্রভাবিত করতে পারত — সেটি হচ্ছে ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI। প্রত্যাশিতভাবেই এই প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, যার ফলে মার্কিন সেশনে ডলারের কিছুটা দরপতন হয়। তবে এই দরপতনের মাত্রা অত্যন্ত সামান্য ছিল। বলা চলে, ডলার ভাগ্যবানই ছিল। যেহেতু এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেল থেকে বের হয়ে এসেছে, তাই ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। সেক্ষেত্রে, স্বল্পমেয়াদে ব্রিটিশ মুদ্রার শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহে পাউন্ডের জন্য একমাত্র সম্ভাব্য ঝুঁকি হলো ব্যাংক অব ইংল্যান্ড-এর বৈঠক, যেখানে ২০২৫ সালে তৃতীয়বারের মতো সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে প্রথমত, আমরা মনে করি না নিশ্চিতভাবেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নমনীয় আর্থিক নীতিমালার মধ্যেও ২০২৫ সালে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বেশ ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3259 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়। দিনের বাকি সময়ে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 30–35 পিপস বৃদ্ধি পায়, এবং মুনাফার সাথে লং পজিশন ক্লোজ করার অনেক সুযোগ ছিল।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে দেখা যাচ্ছে যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন সম্ভবত শেষ হয়েছে। এবং শুক্রবারের সংবাদের পর আমরা ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ার পক্ষে এক পয়সাও বাজি ধরতাম না। যদিও মার্কেটে এখনো সেভাবে ডলার বিক্রি প্রবণতা শুরু হয়নি, এটা সম্ভবত সাময়িক স্থবিরতা। যেহেতু এই পেয়ারের মূল্য দৃঢ়ভাবে অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের ওপরে উঠে গেছে, তাই ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে এখন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে।

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে, যেকোনো সাপোর্ট লেভেল থেকেই এই পেয়ারের মূল্যের রিবাউন্ড হওয়ার পর ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। গতকাল 1.3259 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হয়েছিল, আর আজ মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া ব্রেক করার চেষ্টা করবে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।

বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র — কোনো দেশেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম থাকতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.