আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1558-এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 25 পয়েন্টেরও বেশি বেড়ে যায়।
ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর অপ্রত্যাশিত পতনই ছিল সেই কারণ, যা কারেন্সি মার্কেটে ঢেউ তুলেছিল। 50.1 পয়েন্টের ফলাফল বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের তুলনায় কম ছিল, যা মার্কিন অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে গতিশীলতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার সম্ভাব্য নমনীয়করণ নিয়ে জল্পনা আরও বেড়ে যায়। তবে, মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের কারণে ডলারের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রশমিত হয়েছে, যেখানে ঘাটতি সামান্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত শুল্ক এখনও কার্যকর রয়েছে।
আজ সকালের দিকে, জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা শিল্প আদেশ এবং ইউরোজোনের রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় পরিবর্তনের তথ্য প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সূচকগুলো ইউরোপীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকরা এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে চাহিদার ধারা এবং সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জের পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি মূল্যায়ন করা যায়। ইউরোজোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার ভবিষ্যতের উৎপাদন কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত বহন করে। অর্ডার বৃদ্ধি পেলে সেটি শিল্পখাতে আশাবাদের প্রতিফলন ঘটায় এবং উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনার ইঙ্গিত হতে পারে। বিপরীতে, অর্ডার হ্রাস পেলে সেটি ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে। ইউরোজোনের খুচরা বাণিজ্যের ধারা ভোক্তাদের আস্থা ও ক্রিয়াশীলতার প্রতিচ্ছবি, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি। খুচরা বিক্রির ঊর্ধ্বগতি ভোক্তা আস্থা ও খরচ করার ইচ্ছাশক্তির উন্নতির ইঙ্গিত দেয়, আর পতন হলে তা উদ্বেগ এবং সম্ভাব্য নেতিবাচক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত বহন করে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1632-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1595-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1632-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1573-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1595 এবং 1.1632-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1573-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1534-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1595-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1573 এবং 1.1543-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।