আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার খুবই সীমিত সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। শুধু জার্মানির শিল্প উৎপাদন ও যুক্তরাষ্ট্রের বেকার ভাতার দাবি সংক্রান্ত প্রতিবেদন উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে, ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে এসব প্রতিবেদন গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ, এবং সেগুলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক ও হোয়াইট হাউস থেকে আসা সংবাদ প্রবাহের আড়ালে চলে যাবে। অর্থাৎ, আজ কার্যত কোনো প্রাসঙ্গিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি থাকবে না।
বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক স্পষ্টভাবেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত বিতর্কিত বা প্রত্যাশাবহির্ভূত হতে পারে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মত অনুযায়ী সুদের হার কমানো হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হলেও আমরা এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নই। একই সঙ্গে, সম্ভাব্য সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত সম্ভবত ইতোমধ্যে ব্রিটিশ মুদ্রার বর্তমান বিনিময় হারে মূল্যায়িত হয়ে গেছে। তাই, সুদের হার কমানো হলেও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে।
মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের মূল মনোযোগ এখনও বাণিজ্য যুদ্ধের দিকেই রয়েছে, যা গত শুক্রবার নতুন করে তীব্রতর হয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যেখানে শুল্ক বজায় থাকে, সেটি এক ধরনের গোপন বাণিজ্য যুদ্ধ বৈ কিছু নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা জাপানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই লাভবান হচ্ছে। ফলে, এ ধরনের প্রতিটি চুক্তি স্বল্পমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। তবে সামগ্রিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালার বিষয়গুলো মূল্যায়নের আওতায় নিয়ে এসেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করছেন এবং বিদ্যমান শুল্ক আরও বাড়িয়ে চলেছেন—যা বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে করা হচ্ছে। এর প্রভাব গত সপ্তাহে মার্কিন অর্থনীতির উপর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যদিও দেশটির জিডিপি হয়তো এখনও প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করতে পারে, তবে অন্যান্য সামষ্টিক সূচকগুলোতে উন্নতির সম্ভাবনা খুব কম। সম্প্রতি ট্রাম্প ৬০টি দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং গতকাল তিনি ভারতের ওপর ৫০% শুল্ক বসিয়েছেন, কারণ ভারত রাশিয়ান তেল কেনা বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের (EUR/USD ও GBP/USD) মূল্যের গত শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, গত শুক্রবার ও চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ডলারের জন্য যথেষ্ট নেতিবাচক ছিল, যা অন্তত আরও এক সপ্তাহ মার্কিন মুদ্রার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।