আরও দেখুন
শুক্রবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। সুতরাং, আজ মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখতে পাওয়া যেতে পারে এবং এই মুভমেন্ট প্রবণতাভিত্তিক না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি মনে রাখা দরকার যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এর মানে হলো, যেকোনো মুহূর্তে নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়া হতে পারে, কিংবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যা ট্রেডারদের ডলার বিক্রি করতে বাধ্য করতে পারে। এই সপ্তাহেই ট্রাম্প মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন, কারণ তিনি শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সাম্প্রতিক ফলাফল পছন্দ করেননি।
শুক্রবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। তবে, এই সপ্তাহের শুরুতে ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তন নিয়ে সেপ্টেম্বরে সম্ভাব্য ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের ব্যাপারে নিল কাশকারি ও ম্যারি ডেইলি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। এর ফলে, ফেডের ভিতরে "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানধারীরা দলে আরও ভারী হচ্ছে, যা ডলারের সম্ভাব্য আরও দরপতনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ট্রেডারদের মূল উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্য যুদ্ধ রয়ে গেছে, যা গত সপ্তাহে আরও তীব্র হয়েছে। আমরা এখনো মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বহাল থাকে, সেটি প্রকৃতপক্ষে একই বাণিজ্য যুদ্ধ — কেবল "ভিন্ন নামের অধীনে।" ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন একই ধরনের চুক্তি মার্কিন ডলারের স্বল্পমেয়াদি দর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। তবে বৃহত্তর ও মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ট্রেডারদের মনোযোগ বরং নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির দিকেই থাকবে।
এই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং কিছু উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন বিবৃতি দিয়েছেন। শুক্রবারেও হোয়াইট হাউস থেকে তথ্যপ্রবাহ আসার ধারা অব্যাহত থাকতে পারে, তাই মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, তখন স্বস্তি পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ের, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গত শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আমাদের দৃষ্টিতে, ডলারের জন্য যথেষ্ট নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছে — গত শুক্রবার এবং পুরো সপ্তাহ জুড়ে — যা এটির দরপতন অব্যাহত রাখার জন্য যথেষ্ট। 1.1655–1.1666 এরিয়া ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম চলমান থাকতে পারে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।