আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.1650 লেভেল টেস্ট করে, যা এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। 1.1650 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল — যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি রাফায়েল বস্টিকের বিবৃতিতে কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়, যা মার্কিন ডলারকে সমর্থন করেছে। এর ফলে ইউরোর বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তার মন্তব্যে স্পষ্ট ছিল যে, ফেড মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এমনকি যদি তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়ে। বস্টিক ইঙ্গিত দেন যে, তিনি আশা করছেন সুদের হার আগামী কয়েক মাস বর্তমান স্তরে স্থির থাকবে — যা ফেডের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তার নিকটবর্তী সময়ের মধ্যে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তবে পরে জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডের নতুন সদস্য হিসেবে স্টিফেন মিরানকে নিয়োগ দিয়েছেন, যিনি তাকে আরও বেশি অনুগত বলে বিবেচনা করছেন। মিরান, পদত্যাগকারী অ্যাড্রিয়ানা কুগলারের স্থলাভিষিক্ত হন। এই ঘটনাটি ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, কারণ বিনিয়োগকারীরা এই নিয়োগকে যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার দ্রুত কমানোর সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। মিরানের নিয়োগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর রাজনৈতিক চাপ এবং ফেডের স্বাধীনতা হারানোর আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিনিয়োগকারীরা ধরে নিচ্ছেন যে ফেডের নতুন সদস্য আরও ডোভিশ বা নমনীয় মুদ্রানীতিকে সমর্থন করবেন, যা দ্রুত মূল্যস্ফীতি এবং দীর্ঘমেয়াদে ডলারের দুর্বলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আজ ইউরোজোন থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই, যা ইঙ্গিত দেয় যে হয়তো একটি সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যেই ট্রেডিং সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে গতকালের ঘটনাবলি — বিশেষ করে ফেডের কর্মকর্তাদের মিশ্র বার্তা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিয়োগ — EUR/USD-এর মূল্যের স্বল্পমেয়াদি মুভমেন্টের ক্ষেত্রে আরও অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ নয়, বরং সাম্প্রতিক খবর ও রাজনৈতিক বিবৃতিগুলোকেও বিবেচনায় নিতে হবে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1710-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1667-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1710-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1635-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1667 এবং 1.1710-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1635-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1590-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1667-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1635 এবং 1.1590-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।