আরও দেখুন
এই সপ্তাহের শুরুতে অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিল যে বিটকয়েনের মূল্য হয়তো তীব্র পতনের শিকার হয়ে 110,000 লেভেলের দিকে নেমে যেতে পারে, এবং সেখান থেকে আরও গভীর কারেকশন হয়ে 100,000 পর্যন্ত নামার আশঙ্কা ছিল। তবে, এরপর থেকে মার্কেটের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।
গতকালের 117,000 এরিয়ার দিকে বিটকয়েনের মূল্যের রিবাউন্ড এবং নতুন করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ফলে বিটকয়েনের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা আবারও জোরদার হয়েছে। Santiment-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন বিটকয়েনের মূল্যের 130,000 এর লেভেলের উপরে ওঠা নিয়ে আলোচনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, এবং অনেকে আশা করছে এই এই শরতেই বিটকয়েনের মূল্য এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারে। সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দ্বারা উত্সাহিত এই উচ্ছ্বাস ক্রিপ্টো কমিউনিটিতে ইতিবাচক মনোভাবকে ধরে রাখতে সাহায্য করছে এবং বিনিয়োগকারীদের সাহসী পূর্বাভাস ও আগ্রাসী কৌশল গ্রহণে অনুপ্রাণিত করছে। তবে, এমন আশাবাদের ঢেউ প্রায়ই অন্তর্নিহিত ঝুঁকিগুলো আড়াল করে ফেলে, যেগুলো উপেক্ষা করা উচিত নয়। ক্রিপ্টো মার্কেটের ইতিহাসে হঠাৎ করে কারেকশন ও অপ্রত্যাশিত ঘটনাপ্রবাহের নজির ভরপুর রয়েছে — যেগুলো মুহূর্তেই পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।
ইতিবাচক প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও, ট্রেডারদের সতর্ক থাকা উচিত এবং 'হর্ড মেন্টালিটি' বা গোষ্ঠীচিন্তার ফাঁদে পড়া থেকে বিরত থাকা দরকার। মৌলিক প্রেক্ষাপটের বিশ্লেষণ, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ — এগুলোই একটি মজবুত বিনিয়োগ কৌশলের মূল স্তম্ভ। মনে রাখা জরুরি যে, অতীতের পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের ফলাফল নিশ্চিত করে না, এবং সবচেয়ে আশাবাদী পূর্বাভাসও অনেক সময় বাস্তবে পরিণত হয় না।
একই সময়ে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ক্রমবর্ধমান প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিটকয়েনের আরও বিস্তৃত গ্রহণযোগ্যতা, এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর বিকাশ — এগুলো সবই ক্রিপ্টো মার্কেটে ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য অনুকূল পটভূমি তৈরি করছে। তবে প্রশ্ন রয়ে যায় — এই প্রবৃদ্ধি কি টেকসই হবে, নাকি এটি আরেকটি যন্ত্রণাদায়ক কারেকশনের আগে একটি ক্ষণস্থায়ী উত্থান?
ক্রিপ্টো মার্কেটে দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি বিটকয়েন ও ইথেরিয়ামের দরপতনের সময় ক্রয় করার কৌশল বজায় রাখব — মাঝারি মেয়াদে মার্কেটে বুলিশ প্রবণতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।
স্বল্পমেয়াদি ট্রেডিংয়ের কৌশল নিচে তুলে ধরা হলো।
পরিকল্পনা #1: বিটকয়েনের মূল্য 117,800-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 116,900-এর এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি এটি কিনব। মূল্য 117,800-এর লেভেলে কাছাকাছি পৌঁছালে আমি অবিলম্বে লং পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করব।
ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে ক্রয় করার আগে, নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের নিচে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর পজিটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি 116,300 লেভেলের ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেলে থেকে বিটকয়েন কেনার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের 116,900 এবং 117,800-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা#1: বিটকয়েনের মূল্য 115,000-এর লেভেলে দরপতনের লক্ষ্যে 116,300-এর লেভেলে পৌঁছালে আমি বিটকয়েন বিক্রি করব। মূল্য 115,000 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি বিটকয়েনের শর্ট পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে অবিলম্বে লং পজিশন ওপেন করব।
ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে বিক্রির আগে নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের উপরে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর নেগেটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি 116,900 লেভেলের ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে বিটকয়েন বিক্রি করা যেতে পারে এবং মূল্যের 116,300 এবং 115,000-এর দিকে দরপতনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: ইথেরিয়ামের মূল্য 4038-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 3939-এর লেভেলে পৌঁছালে আমি এটি কিনব। মূল্য 4038 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি ইথেরিয়ামের লং পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করব।
ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে ক্রয় করার আগে, আমি নিশ্চিত করব যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের নিচে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর পজিটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি 3879 লেভেলের ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে ইথেরিয়াম কেনার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের 3939 এবং 4038-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: ইথেরিয়ামের মূল্য 3800-এর লেভেলে দরপতনের লক্ষ্যে 3879-এর এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি ইথেরিয়াম বিক্রি করব। মূল্য 3800 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে অবিলম্বে লং পজিশন ওপেন করব।
ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে বিক্রির আগে নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের উপরে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর নেগেটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি 3939 লেভেলের ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে ইথেরিয়াম বিক্রির আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং 3879 এবং 3800-এর দিকে দরপতনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।