empty
 
 
11.08.2025 08:06 AM
১১ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। তবে এই মুভমেন্ট অত্যন্ত দুর্বল ছিল, দিনের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মোট অস্থিরতার পরিমাণ ছিল মাত্র 43 পিপস। সেদিন কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তাই মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত একদিনের জন্য ছুটি নিয়েছিল — যেমনটি আমরা সকালে সতর্ক করেছিলাম। যদিও কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তবে মূলত হোয়াইট হাউস থেকে বিভিন্ন খবর আসা অব্যাহত ছিল। অনেকদিন পর প্রথমবারের মতো কিয়েভ ও মস্কোর দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অনেকদিন পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সামরিক সংঘাতের অবসান ঘটার বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই বিষয়টি স্বল্পমেয়াদে সব ঝুঁকিপূর্ণ মুদ্রাকে সমর্থন যোগাবে। উল্লেখযোগ্য যে গত ছয় মাসে ডলারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তীব্রভাবে কমেছে, যদিও এটি এখনো "স্থিতিশীল ও নিরাপদ মুদ্রা" হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সুতরাং, ইউক্রেনের সংঘাত যদি প্রশমনের পর্যায়ে প্রবেশ করে, তবে এটি ইউরো ও পাউন্ডের জন্য ইতিবাচক হবে। এর পাশাপাশি, সেপ্টেম্বরেই ফেডারেল রিজার্ভ পুনরায় মুদ্রানীতি নমনীয় করা শুরু করতে পারে, অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব মানচিত্রে খুঁজে পাওয়া প্রতিটি দেশের ওপর শুল্ক আরোপ অব্যাহত রেখেছেন।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে খুব স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার মধ্যেও একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং এরপর 25 পিপস বৃদ্ধি পায়। নতুন ট্রেডাররা সহজেই এই 25 পিপস লাভ করতে পেরেছেন। ভাবুন তো, মোট 40 পিপসের মুভমেন্ট থেকে 25 পিপস লাভ — এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ফলাফল।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এটি নির্দেশ করছে যে নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, এবং গত দুই সপ্তাহের ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে আমরা মার্কিন মুদ্রার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার পক্ষে বিন্দুমাত্র বাজি ধরব না। যদিও মার্কেটের ট্রেডাররা ডলারের নতুন সেল পজিশন খোলার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করছে না, তবুও প্রায় প্রতিদিনই ধীর গতিতে ডলারের দরপতন হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেলের ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে।

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। তাই যেকোনো সাপোর্ট লেভেল থেকে সম্ভাব্য রিবাউন্ডের ফলে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে। যেহেতু অল্প কিছু সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করতে পারে। শুক্রবারই এই পেয়ারের মূল্যের রিবাউন্ড হয়েছে, তাই সোমবারও এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য এখন যেসব লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই, তাই আজও এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে এবং দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.