আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ অনেকটা নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবার 1.1635 লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। 1.1635-এর দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা 2 অনুযায়ী ইউরো ক্রয়ের জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত হয়েছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের 30 পয়েন্টের বেশি বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।
শুক্রবার ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি আলবার্তো মুসালেমের ভাষণ ছাড়া মনোযোগ দেওয়ার মতো তেমন কিছু ছিল না। তবে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে তার সংযত মন্তব্যের কারণে মনে হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কৌশল অবলম্বন করছেন এবং সরাসরি ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে আরও স্পষ্ট সংকেতের অপেক্ষায় আছেন। মুসালেম বিশেষভাবে স্থায়ী মুদ্রাস্ফীতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। এই মাপা সুরে কোনো চমকপ্রদ বার্তা ছিল না, যার ফলে মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়াও তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিল।
আজ ইতালির বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ (ফরেন ট্রেড ব্যালান্স) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং একমাত্র এই প্রতিবেদনের ফলাফলই ট্রেডারদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ফেডের মুদ্রানীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা কমে যাওয়ায় যেকোনো অর্থনৈতিক সূচক এখন তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। ইতালির বাণিজ্যের পরিমাণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে যদি আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায় — তাহলে ইউরোর দর বৃদ্ধির পেতে পারে। এটি ইতালির অর্থনীতির প্রতিযোগিতার সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মধ্যে সফল ফলাফল প্রদর্শন করার সক্ষমতার প্রমাণ দেবে। বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত এটিকে ইউরোজোনের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার নিশ্চিতকরণ এবং ইউরোর দর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখবেন। তবে একটি সূচকের প্রভাব অতিমূল্যায়ন করা উচিত নয়। বাণিজ্য পরিমাণ কেবল সামগ্রিক চিত্রের একটি অংশ, এবং মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের মতো অন্যান্য বিষয়গুলিও বিবেচনায় নিতে হবে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং নং 2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1722-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1685-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1722-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1663-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1685 এবং 1.1722-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1663-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1624-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1685-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1663 এবং 1.1624-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।