empty
 
 
12.08.2025 07:26 AM
১২ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য সামান্য নিম্নমুখী হয়েছে, তবে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার এই ইঙ্গিতটির কোনো বাস্তব তাৎপর্য নেই। এমনকি মূল্য নিকটবর্তী 1.3413 লেভেলের নিচে কনসোলিডেট করতেও সক্ষম হয়নি। তাই, আজ থেকেই পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। উল্লেখ্য যে, আজ যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, ফলে দিনের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের একাধিকবার দিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ প্রতিবেদনগুলো এখনো শক্তিশালী ফলাফলের আশা করার মতো কোনো ভিত্তি প্রদান করছে না। গত ছয় মাসে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের আত্মবিশ্বাসী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এর নিজস্ব পারফরম্যান্সের কারণে সৃষ্টি হয়নি — বরং ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালার প্রভাবে টানা ছয় মাস ধরে মার্কিন ডলার দরপতনের সম্মুখীন হচ্ছে। যদি মার্কিন মুদ্রার এতো দ্রুত দরপতন না ঘটত, তবে যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ভিত্তিতে পাউন্ডের মূল্য কখনোই এমনভাবে বৃদ্ধি পেত না। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে, এটি সম্ভবত বৃদ্ধিই পাবে, যা তাত্ত্বিকভাবে মার্কেটের ট্রেডার কর্তৃক ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশাকে দুর্বল করতে পারে। তবে, ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বর মাসে মূল সুদের হার কমাবে বলেই প্রায় নিশ্চিত সম্ভাবনা রয়েছে, তাই মার্কেটে এই প্রতিবেদনটির কোনো বাস্তব প্রভাব পড়বে না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে মূল্য 1.3466 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা এখন সমন্বয় করে 1.3475 পর্যন্ত ধরা যেতে পারে। এর পর, মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়ায় নেমে এসেছিল এবং এমনকি এটি ব্রেকও করে ফেলেছিল, তবে নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল না। এই এরিয়ার উপরে কনসোলিডেশন নতুন ট্রেডারদের জন্য লাভজনক অবস্থায় শর্ট পজিশন ক্লোজ করার সুযোগ দেয়।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের চার্টে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। গত দুই সপ্তাহের ঘটনাবলীর ভিত্তিতে, আমরা মার্কিন মুদ্রার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার উপর এক পয়সাও বাজি ধরতে রাজি নই। যদিও মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো আক্রমণাত্মকভাবে ডলার বিক্রি করার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করছে না, তবুও ধারাবাহিকভাবে এবং স্থির গতিতে মার্কিন মুদ্রা দরপতন অব্যাহত রয়েছে। ডিসেন্ডিং চ্যানেল ব্রেকআউট করে এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে এখন বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার সোমবারের "বিরতি"র পর পুনরায় GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। তাই, যেকোনো সাপোর্ট লেভেল সম্ভাব্যভাবে রিবাউন্ড এবং ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি এরিয়া হতে পারে। 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে, যা লং পজিশনের মাধ্যমে ট্রেড করা যেতে পারে। অপরদিকে, এই এরিয়া ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে মূল্যের 1.3329–1.3331-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হবে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য এখন নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, বেকার ভাতার আবেদন এবং মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.