আরও দেখুন
মঙ্গলবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। যুক্তরাজ্যে আজ বেকারত্বের হার, বেকার ভাতা এবং মজুরি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও বলা যায় না যে এই প্রতিবেদনগুলো সার্বিক টেকনিক্যাল চিত্র বা ট্রেডারদের মনোভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে কিনা, তবুও এগুলোর ফলাফল স্বল্পমেয়াদে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া উসকে দিতে পারে। ইউরোজোন ও জার্মানিতে ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হবে, যা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে যা সবচেয়ে প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি কমিটির সদস্য থমাস বারকিনের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। গত সপ্তাহে ফেডের বেশ কয়েকজন সদস্য তাদের বক্তব্যে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফেডের কর্মকর্তারা যত বেশি মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলবেন, তত বেশি সম্ভাবনা রয়েছে যে আমরা এ বছর একাধিকবার সুদের হার কমতে দেখব। ডোভিশ বা নমনীয় মনোভাব যত প্রবল হবে, ২০২৫ সালে ডলারের দরপতন তত গভীর হতে পারে।
ট্রেডারদের জন্য মূল উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্যযুদ্ধ রয়ে গেছে, যা গত সপ্তাহে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমরা এখনও মনে করি, যেকোন বাণিজ্য চুক্তিতে যদি শুল্ক বজায় থাকে, তাহলে সেটি বাণিজ্যযুদ্ধই — কেবল "ভিন্ন রূপে।" ইইউ বা জাপানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির মতো সমঝোতাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নিঃসন্দেহে লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন অনুরূপ চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে। তবে আরও বিস্তৃত ও মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গত শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আমাদের মতে, সম্প্রতি ডলারের সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে নেতিবাচক হয়েছে, যা মার্কেটের ট্রেডারদের শান্তভাবে মার্কিন মুদ্রা বিক্রি চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে। বর্তমানে মূল্যের দুটি জোনের মাঝামাঝি ইউরোর ট্রেড করা হচ্ছে, তাই এর মধ্যে যেকোনো একটি টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আজ 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে হয় রিবাউন্ড করতে পারে অথবা ব্রেক করতে পারে, যেখান থেকে ট্রেডিং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।