আরও দেখুন
GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রেও তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে EUR/USD পেয়ারের বিপরীতে, এটির মূল্য সকাল থেকেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। যদিও এটি বলা যাবে না যে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল ব্যতিক্রমধর্মী ইতিবাচক ছিল, তবে ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় সামান্য ভালো এসেছে। বিশেষ করে, বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনে অপ্রত্যাশিতভাবে বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া, বর্তমান মৌলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে, পাউন্ডের দর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নেই। দিনের শেষভাগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডারদের সক্রিয়ভাবে ডলার বিক্রি করার নতুন সুযোগ দেয়। জুলাই মাসে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি অপরিবর্তিত ছিল, যা সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে প্রায় 100% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া, গত তিন মাসের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিটি বৈঠকেই সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে, এবং মুদ্রাস্ফীতি এই প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার অনেকগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম সিগন্যালটি সকালে 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে বাউন্স করার মাধ্যমে তৈরি হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে 1.3466–1.3475 এরিয়া টেস্ট করা হয়। সেখানে লং পজিশনগুলো ক্লোজ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা উচিত ছিল। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে প্রকাশের আগে শর্ট ট্রেডে ব্রেকইভেন স্টপ লস সেট করা বা পজিশন ক্লোজ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হতো। এরপর 1.3466–1.3475 এরিয়ার কাছে দুটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়; এর মধ্যে দ্বিতীয়টি ব্যবহার করে ট্রেড করা যেত। দিনের শেষের দিকে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3518–1.3525 এরিয়া থেকে দু'বার বাউন্স করে, যা লং পজিশন ক্লোজ করার এবং এমনকি শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়।
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সমাপ্তির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহের পরিস্থিতি বিবেচনায়, মার্কিন মুদ্রার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার উপর আমরা এক পয়সাও বাজি ধরব না। ডলারের ধারাবাহিক ও স্থিতিশীলভাবে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন এই পেয়ারের ক্রেতাদের সুবিধা দিচ্ছে, এবং এই লাইনের নিচে মূল্যের কনসোলিডেশন না হওয়া পর্যন্ত এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি হবে না।
বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সামান্য বিরতি দেখা যেতে পারে কারণ আজ কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক প্রেক্ষাপট নেই। সুতরাং, 1.3518–1.3532 এরিয়া থেকে বাউন্স হলে মূল্যের 1.3475-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন হোল্ড করে রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে, 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে বাউন্স হলে বা 1.3518–1.3532 এর উপরে কনসোলিডেশন হলে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।
৫-মিনিটের চার্টে ট্রেডিংয়ের জন্য এখন নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বুধবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে এবং দিনের বেলা কোনো নির্দিষ্ট প্রবণতা নাও দেখা যেতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।