empty
 
 
14.08.2025 07:55 AM
১৪ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টও অব্যাহত ছিল, যদিও এর জন্য কোনো স্থানীয় কারণ ছিল না। তবুও, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও ইউরোর মতো একই কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে — মার্কিন ডলারের চাহিদা ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। বৈশ্বিক প্রভাবক নিয়ে আমরা বহুবার আলোচনা করেছি, এবং সময়ের সাথে তাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে পাউন্ডের মূল্য ধীরে এবং স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি পরিমিত ছিল, এবং বাস্তবে দেখা যায়, এই গতিতে প্রায় প্রতিদিনই এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই আজও আমরা আরেকটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখতে পারি। তবে আজ প্রায় দেড় ঘণ্টা পর প্রকাশিতব্য যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা এই পেয়ারের মূল্য কিছুটা হলেও প্রভাবিত হতে পারে। এই পর্যায়ে যেকোনো পুলব্যাক লং পজিশন ওপেন করার কারণ হতে পারে (যদি বাই সিগন্যাল পাওয়া যায়)। যদি যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তাহলে লং পজিশন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হবে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি চমৎকার বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.3518–1.3532 এরিয়া ব্রেক করেছিল, এরপর মূল্য 1.3574–1.3590 এরিয়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল, যেখানে দিনের বাকি সময়ে এই পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছিল। ফলে, নতুন ট্রেডাররা সকালে লং পজিশন ওপেন করে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুনাফা করতে পারতেন।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সমাপ্তির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহের পরিস্থিতি বিবেচনায়, মার্কিন মুদ্রার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার উপর আমরা এক পয়সাও বাজি ধরব না। ধারাবাহিক ও স্থিতিশীলভাবে ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ক্রেতাদের সুবিধা দিচ্ছে, এবং এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা কেবল তখনই দেখা দেবে যদি মূল্য এই নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করে।

বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে সামান্য বিরতি পরিলক্ষিত হতে পারে, তবে একই সাথে শান্তভাবে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টও অব্যাহত থাকতে পারে। সুতরাং, এই পেয়ারের মূল্য 1.3574–1.3590 এরিয়ার ব্রেক করে উপরের দিকে গেলে সেটি নতুন লং পজিশন ওপেন করার ভালো কারণ হতে পারে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3643–1.3652। এই এরিয়া থেকে বাউন্স হলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3518–1.3532-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। আমাদের মতে, এগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলো তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেগুলোর প্রতিক্রিয়াও সম্ভবত নগণ্য হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.