আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3564 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড বিক্রির সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে এবং এর ফলে 10-পয়েন্ট দরপতন ঘটে।
গতকালের মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রাখতে সহায়তা করেছে। এই প্রবণতা কেবল ডলারের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণে নয়, বরং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদের দ্বারাও সমর্থিত, যদিও অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ উল্লেখযোগ্য স্তরে রয়ে গেছে।
তবে আজকের দিনটি ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে। বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচকের প্রকাশের দিকে রয়েছে, যা যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা দেবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট প্রভাব ফেলবে। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জিডিপি প্রতিবেদন। এই সূচকটি, যা উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মোট মূল্য প্রতিফলিত করে, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে। পূর্বাভাসে মাঝারি মাত্রায় প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, তবে প্রত্যাশা থেকে মূল ফলাফলের যেকোনো বিচ্যুতি কারেন্সি মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিবাচক পরিসংখ্যান পাউন্ডকে শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল পাউন্ডের দরপতন ঘটাতে পারে। সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন। অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে শিল্প খাত ভোক্তা চাহিদা ও ব্যবসায়িক কার্যকলাপের পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীল। উৎপাদন বৃদ্ধি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে, বিপরীতে হ্রাস সম্ভাব্য সংকটের সংকেত দেয়।
এছাড়া, ট্রেড ব্যালেন্স যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। নেতিবাচক ট্রেড ব্যালেন্স জাতীয় মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করে, অন্যদিকে ইতিবাচক ব্যালেন্স এটিকে সহায়তা করে। এই সবগুলো উপাদান একত্রে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোনিবেশ করব।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3617-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3584-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3617-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। চলমান বুলিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে এবং আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ পাউন্ড ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3564-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3584 এবং 1.3617-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3564-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3534-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করার পরামর্শ হওয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3584-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3564 এবং 1.3534-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।