আরও দেখুন
শুক্রবারে খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন রয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোজোনের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন, খুচরা বিক্রয় এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে ভোক্তা মনোভাব সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, এবং প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে ভিন্ন হলে ট্রেডারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ফলাফল ও পূর্বাভাসের বিচ্যুতি যত বেশি হবে, মার্কেটে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াও তত বেশি হবে।
শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে আলাস্কায় রুশ ও মার্কিন নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকটি উল্লেখযোগ্য। আলোচনা গভীর রাতে শুরু হবে, এবং কখন শেষ হবে তা কেউ জানে না। তাই সম্ভবত এই বৈঠক সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পাওয়ার আগেই ফরেক্স মার্কেট বন্ধ হয়ে যাবে। তবুও, এই ইভেন্টতির কথা মাথায় রাখা উচিত, কারণ এটি মার্কেটে তীব্রমাত্রার অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
ট্রেডারদের কাছে মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে বাণিজ্যযুদ্ধই রয়ে গেছে, যা গত সপ্তাহে নতুন গতি পেয়েছে। আমরা এখনও মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বহাল থাকে, তা মূলত "অন্য রূপে" একই বাণিজ্যযুদ্ধ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে হওয়া চুক্তির মতো সমঝোতা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন এ ধরনের চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধিকে উসকে দিতে পারে। তবে, বৈশ্বিক এবং মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে। এমন মৌলিক পরিস্থিতিতে, ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। গতকাল উভয় পেয়ারের মূল্যেরই কারেকশন হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা সাপোর্ট লাইনে এসে মুভমেন্ট থেমেছে। আজ কেবল দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ডলার বিক্রির নতুন কারণ হবে। আলাস্কার আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল আসলে সেটিও ডলার বিক্রির আরেকটি কারণ হতে পারে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, এবং যতক্ষণ তা অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ আমরা এই পেয়ার বিক্রির কোনো কারণ দেখছি না।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।