আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.35700-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি এবং নিম্নমুখী মুভমেন্টটি কাজে লাগাতে পারিনি। 1.3534 থেকে রিবাউন্ডের ফলে এই পেয়ার ক্রয় করে প্রায় 20 পয়েন্ট লাভ হয়েছে।
জুলাই মাসে মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচক 0.9% বৃদ্ধি পেয়েছে এই খবর প্রকাশের পর ব্রিটিশ পাউন্ডের তীব্র দরপতন হয়েছে, আর মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে।
ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া ছিল তাৎক্ষণিক এবং একেবারেই বোধগম্য। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে রয়ে গেছে, এবং উৎপাদক মূল্য সূচকের এই শক্তিশালী বৃদ্ধি তারই আরেকটি প্রমাণ। এর ফলে, সুদের হার আরও দীর্ঘ সময় অপরিবর্তিত থাকার প্রত্যাশা জোরদার হয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণত এমন সংকেতের প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ সুদের হার মার্কিন অ্যাসেটকে বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, যা ডলারের চাহিদা বাড়ায় এবং ফলস্বরূপ এটির দর বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের তুলনামূলকভাবে নমনীয় আর্থিক নীতিমালার কারণে পাউন্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। তবে, উৎপাদক মূল্য সূচকের এই হঠাৎ বৃদ্ধির এবং শক্তিশালী ডলারের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনও মূল্যায়ন করা বাকি।
আজ যুক্তরাজ্যে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না, তাই দিনের প্রথমার্ধেই পাউন্ডের ক্রেতাদের আরও দর বৃদ্ধি ঘটানোর সুযোগ থাকবে। তবে মনে রাখা জরুরি যে আজ মৌলিক অনুঘটকের অভাব ট্রেডারদের টেকনিক্যাল সিগন্যাল এবং স্পেকুলেটিভ মুভমেন্টের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। ক্রেতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স পয়েন্ট হবে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা, যা এই পেয়ারের মূল্যকে আরও উচ্চ লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে। অন্যথায়, বর্তমান রেঞ্জের মধ্যে কনসোলিডেশন হতে পারে। এছাড়া, গতকালের প্রবণতার ধারাবাহিকতায় সম্ভাব্যভাবে মুনাফা গ্রহণের বিষয়টিও উপেক্ষা করা উচিত নয়, যা আগস্টের শুরু থেকে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামকে আরও দুর্বল করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3585-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3554-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3585-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এই বৃদ্ধি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3541-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3554 এবং 1.3585-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3541-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3518-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ যেকোনো সময় পাউন্ড বিক্রির প্রবণতা শুরু হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3554-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3541 এবং 1.3518-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।