আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1698-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয় করিনি।
প্রকাশিত মার্কিন খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল এসেছে এবং বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকেও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি ভোক্তা কার্যক্রমের স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে, যা সম্প্রতি পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতিকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছিল। খুচরা বিক্রয় মন্থর হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির চাপ। মানসিক বিষয়টিও উপেক্ষা করা যায় না। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকির কারণে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক বিকাশ নিয়ে অনিশ্চয়তা গৃহস্থালি ব্যয়ের ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে এবং বড় ধরনের কেনাকাটা স্থগিত করতে প্ররোচিত করতে পারে। আগামী মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা, শ্রমবাজারের অবস্থা এবং ফেডারেল রিজার্ভের গৃহীত নীতিমালা সার্বিক পরিস্থিতির মূল নির্ধারক হবে। যদি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার কমতে থাকে, তাহলে ফেড সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে, যা ভোক্তাদের আস্থা বাড়াবে।
আজ ইউরোজোনে ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তাই EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কেবল একটি সূচকের ভিত্তিতে পূর্বাভাস দেয়া অবিবেচকের কাজ হবে। কেবল ট্রেড ব্যালেন্সের ইতিবাচক ফলাফল দ্বারাই ইউরো শক্তিশালী হতে পারে না, বরং ইউরোপীয় অর্থনীতির সামগ্রিক স্থিতিশীলতাও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বিনিয়োগকারী এখন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন, কর্মসংস্থানের মাত্রা এবং ভোক্তা আস্থার দিকে নজর দিচ্ছেন। যদি এসব সূচকে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়, তাহলে ইউরোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে, যা EUR/USD পেয়ারের সমর্থন দেবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রমের বিষয়টিও ভুলে যাওয়া উচিত নয়। সুদের হারের ওপর তাদের গৃহীত অবস্থায় এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসিবি যদি মুদ্রানীতি আরও নমনীয় করার প্রস্তুতির স্পষ্ট সংকেত দেয়, তাহলে ইউরো আরও শক্তিশালী হতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1731-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1712-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1731-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1699-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1712 এবং 1.1731-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1699-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1681-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1712-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1699 এবং 1.1681-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।