empty
 
 
19.08.2025 07:26 AM
১৯ আগস্ট কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের একটি নতুন দরপতনের ঢেউ শুরু করেছে, যা মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। সপ্তাহের প্রথম ডিনের ট্রেডিংয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউক্রেনের নেতাদের সাথে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাত নিরসনের বিষয়ে বৈঠক করেছেন। অগ্রগতি হয়েছে, সব পক্ষই বৈঠকটিকে ফলপ্রসূ বলেছেন এবং ভ্লাদিমির পুতিন, ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে, যা প্রায় ৪ বছরের যুদ্ধের ইতি টানতে পারে। এটি চমৎকার খবর, তবে মার্কিন ডলারের জন্য নয়। আমরা মনে করি, গতকালের ডলারের শক্তিশালী হওয়াটা কেবলই এক কাকতালীয় ঘটনা। ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের মতে এতে ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়নি। মার্কিন মুদ্রা এখনও কেবলমাত্র কারেকশনের ওপর নির্ভর করতে পারে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি, এবং আবারও অস্থিরতার মাত্রা বেশ দুর্বল ছিল। মূল্য একবার 1.1666 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করেছিল, কিন্তু 15 পিপস পর্যন্তও বাড়তে ব্যর্থ হয়, এবং দিনের শেষে 1.1655 ও 1.1666 এর ফ্ল্যাট রেঞ্জে এই পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। সুতরাং, নতুন ট্রেডাররা একটি বাই ট্রেড ওপেন করতে পারতেন, তবে সেটি থেকে লাভ বা ক্ষতি কোনোটাই হত না।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের এই বছরের শুরু থেকে গঠিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলমান থাকার সব সুযোগ রয়েছে। ডলারের জন্য পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ শীঘ্রই পুনরায় মুদ্রানীতি নমনীয়করণ শুরু করতে পারে, আর ইউক্রেন-রাশিয়ার সামরিক সংঘাত প্রশমিত হলে ডলারের পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ মুদ্রার চাহিদা বাড়তে পারে। ট্রাম্প সব দেশের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ অব্যাহত রেখেছেন, তাই আমরা মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী হওয়ার কোনো ভিত্তি দেখতে পাচ্ছি না।

মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার পরও ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম পুনরায় শুরু করতে পারে। সুতরাং, আজ লং পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1740–1.1750 লেভেল, যদি মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ব্রেক করে। শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে যদি 1.1655–1.1666 এরিয়া থেকে নিশ্চিত রিবাউন্ড ঘটে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1563। তবে ট্রেডারদের সম্ভবত আজও এই পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতার প্রত্যাশা করা উচিত নয়।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1552–1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। মঙ্গলবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে সেগুলোর ফলাফল ট্রেডারদের মনোভাবের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.