আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1674-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রি করার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 20 পয়েন্ট কমেছে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া সত্ত্বেও ইউরোপীয় মুদ্রার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। এই ধরনের মুভমেন্টের সম্ভাব্য কারণ ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক। মার্কেটের ট্রেডাররা এই বৈঠককে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্ভাব্য উন্নতির ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা মার্কিন ডলারকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে পরবর্তী দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হবে আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল এবং গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের আসন্ন বক্তৃতার দিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখবে।
দিনের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচকটি, যা মূলধন প্রবাহ ও বহির্গমনের পার্থক্য প্রতিফলিত করে, ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। ইতিবাচক ব্যালান্স, যেখানে ইনফ্লো আউটফ্লোকে ছাড়িয়ে যায়, ইউরোজোনে বিনিয়োগ আকর্ষণীয়তা নির্দেশ করে এবং সাধারণত ইউরোকে সহায়তা করে। অপরদিকে, নেতিবাচক ব্যালান্স ইউরোপীয় মুদ্রাকে দুর্বল করতে পারে। অর্থনীতিবিদরা পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের তুলনায় ইতিবাচক ব্যালান্সের সামান্য বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছেন।
তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফলে সামান্য পতন পরিলক্ষিত হলেও তা ইউরোর তীব্র দরপতনের কারণ হবে না। মূল বিষয় হবে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া। যদি ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আসে, তাহলে সাময়িকভাবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যথায়, ইউরোর মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1687-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1667-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1687-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1652-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1667 এবং 1.1687-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1652-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1631-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর চাপ বজায় থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1667-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1652 এবং 1.1631-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।