আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.1674 লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণে আমি এই পেয়ার বিক্রি করিনি। 1.1674 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড এরিয়ায় ছিল, যা ইউরো কেনার জন্য বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ দেয়। তবে, এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়নি।
মার্কিন আবাসন খাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফল সত্ত্বেও, ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ইউরোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, অন্যদিকে সুদের হার নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান সম্পর্কিত অনিশ্চয়তার বিষয়টি এখনও মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করছে।
আজ মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টি ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক, জার্মানির উৎপাদন মূল্য সূচক এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণের দিকে থাকবে। এসব প্রতিবেদনের ফলাফল ও ইভেন্ট কারেন্সি মার্কেটে বিশেষ করে ইউরোর মূল্যের ওঠানামায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে—ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক CPI অঞ্চলটির মুদ্রাস্ফীতির মূল সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি এই সূচক ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে, তবে তা আরও সুদের হার কমানোর জন্য উৎসাহ দিতে পারে, যা ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে, জার্মানির উৎপাদক মূল্য সূচক শিল্পজাত পণ্য ও কাঁচামালের মূল্যের গতিশীলতা প্রতিফলিত করবে। এই সূচকের বৃদ্ধি ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে।
তবে, সম্ভবত সবচেয়ে বেশি মনোযোগ থাকবে ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণের উপর। বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্যে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস এবং ইসিবির ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত মন্তব্যগুলো নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করবে। যেকোনো কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত ইউরোকে শক্তিশালী করতে পারে, অন্যদিকে আরও নমনীয় অবস্থানের প্রস্তুতির ইঙ্গিত ইউরোকে দুর্বল করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1702-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1659-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1702-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1633-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1659 এবং 1.1702-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1633-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1594-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর চাপ বজায় থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1659-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1633 এবং 1.1594-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।