empty
 
 
25.08.2025 07:53 AM
২৫ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শেষ হয়েছে, যা কেবলমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল। জেরোম পাওয়েলের ভাষণের পর, যেখানে ডলারের দরপতন ঘটানোর মতো কোনো বক্তব্য ছিল না, এই পেয়ারের মূল্য 120 পিপস বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের জন্য এই ধরনের ফলাফল কোনো বিস্ময়কর ছিল না, কারণ আমরা বারবার ট্রেডারদের সতর্ক করেছিলাম — এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বহাল রয়েছে, তাই একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের মাধ্যমেই কারেকশন শেষ হবে। বৈশ্বিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অপরিবর্তিত রয়েছে; বছরের প্রথমার্ধে ডলারের দরপতন ঘটানো সব বিষয় এখনো কার্যকর রয়েছে। তাই, পাওয়েল থাকুক বা না থাকুক, ডলার দুর্বল হতে থাকবে। ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিবেচনার জন্য হয় মৌলিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন, অথবা হায়ার টাইমফ্রেমে প্রবণতা পরিবর্তনের শক্তিশালী সংকেত প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যে শুক্রবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, এবং এর আগে প্রকাশিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোও তেমনভাবে ট্রেডারদের আগ্রহ আকর্ষণ করতে পারেনি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম বাই সিগন্যালটি পাওয়েলের ভাষণের সময় 1.3413–1.3421 এরিয়ার কাছাকাছি গঠিত হয়েছিল, যার উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা কার্যত অসম্ভব ছিল। তবে মাত্র 5 মিনিট পর আরেকটি বাই সিগন্যাল পাওয়া যায় — 1.3466–1.3475 এরিয়ার ব্রেকআউট ঘটে, যা ট্রেডাররা কাজে লাগাতে পারতেন। এরপর, এই পেয়ারের মূল্য বেড়ে 1.3518–1.3532 এরিয়াতে পৌঁছায়, যেখানে লং পজিশন মুনাফার সাথে ক্লোজ করা যেত।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ডলারের জন্য এতটা অনুকূল ছিল না যে এটির মূল্যের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের আশা করা যায়। তাই, আগের মতোই, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি, ইউক্রেন সংঘাতের প্রশমন বা ফেডের উপর ট্রাম্পের চাপ — এই ধরনের যেকোনো খবরই নতুন করে মার্কিন কারেন্সির দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করবে।

সোমবার সহজেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এখন নতুন সিগন্যালের প্রয়োজন। আজ 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড, অথবা 1.3518–1.3532 এরিয়ার ব্রেকআউট সম্ভাব্য সিগন্যাল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এখন নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এমনকি সপ্তাহের বাকি সময়েও কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা আবারও হ্রাস পেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.