আরও দেখুন
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যও নিম্নমুখী হয়েছে, যা কিছুটা অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—কোনো দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো ইভেন্টও ছিল না, এবং এই পেয়ারের মূল দরপতন হয়েছে সন্ধ্যার ট্রেডিং সেশনে। মনে করিয়ে দিই, গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য একসাথে দুটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছিল, ফলে প্রবণতা বুলিশে পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে টেকনিক্যাল চিত্র পরিবর্তিত হতে পারে এবং সিগন্যালগুলো ভুল হতে পারে। বর্তমানে, আমরা এখনও পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি, তবে 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বাই সিগন্যাল তৈরি হওয়ার পরই কেবল লং পজিশন ওপেন করার যৌক্তিকতা রয়েছে। যদি কোনো সিগন্যাল না থাকে এবং মূল্য নিম্নমুখী হতে থাকে, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ পাউন্ড কেনা সমীচীন হবে না। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটির ফলাফল আবারও পাউন্ডের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করতে সাহায্য করতে পারে, তবে একইসাথে এটির ফলাফল মার্কিন ডলারকেও সহায়তা করতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য 1.3518–1.3532 এরিয়া থেকে তিনবার রিবাউন্ড করেছিল, ফলে ট্রেডারদের কাছে শর্ট পজিশন ওপেন করার প্রচুর সুযোগ ছিল। শেষ পর্যন্ত, এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.3466–1.3475-এ পৌঁছায় এবং এমনকি এটি ব্রেকও করে। রাতেরবেলা একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তাই সোমবার সন্ধ্যায় শর্ট ট্রেডগুলো ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা উচিত ছিল অথবা রাতেরবেলা মুনাফা সহ স্টপ লসে ক্লোজ হওয়া উচিত ছিল।
ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, এটি স্পষ্ট যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে এবং একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হচ্ছে। মৌলিক ও সামষ্টিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের পক্ষে যথেষ্ট উন্নত হয়নি যে ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রত্যাশা করা যায়। সুতরাং, আগের মতোই আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতারই সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি, ইউক্রেন সংঘাতের প্রশমন, অথবা ফেডের উপর ট্রাম্পের চাপ সংক্রান্ত যেকোনো খবরই মার্কিন ডলারের নতুন দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করবে।
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ 1.3466–1.3475 এরিয়ার আশেপাশে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। একই সময়ে, ঘন্টাভিত্তিক চার্টে সামগ্রিক টেকনিক্যাল চিত্র এই পেয়ারের মূল্যের সম্ভাব্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। লং পজিশন ওপেন করার জন্য এই এরিয়ার উপরে নতুন করে কনসোলিডেশন হওয়া প্রয়োজন।
5-মিনিটের চার্টে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।
মঙ্গলবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না , তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশিত হবে, যার প্রতি ট্রেডারদের দৃষ্টি দেয়া উচিত।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।