আরও দেখুন
মঙ্গলবারে খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার প্রতিবেদন-ই উল্লেখযোগ্য। মনে রাখা উচিত, এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ভোক্তাদের বড় অংকের কেনাকাটায় আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। ফলস্বরূপ, এটি পরোক্ষভাবে ভোক্তা আস্থা এবং সঞ্চয়ের পরিবর্তে খরচ করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। তাই, অর্ডার বৃদ্ধি পেলে সেটি মার্কিন অর্থনীতি এবং ডলারের জন্য ইতিবাচক সংকেত, আর পতন হলে তা নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার এই প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফলের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। সোমবার সন্ধ্যায় মার্কিন ডলার অপ্রত্যাশিতভাবে শক্তিশালী হয়েছিল, এবং এর ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া এখনও কঠিন। ডলারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সেরা পরিস্থিতি হলো, সেপ্টেম্বর মাসের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক মূল সুদের হার না কমানো। তবে এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য খুব একটা নির্ভরযোগ্য সমর্থন নয়, কারণ এই ক্ষেত্রে আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রয়েছে। আসন্ন বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন এবং সদস্য পরিবর্তনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও নিয়ন্ত্রণযোগ্য করার চেষ্টা করছেন।
ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্য যুদ্ধ রয়ে গেছে। যেহেতু আমরা বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনের কোনো প্রকার লক্ষণ দেখছি না, তাই মধ্যমেয়াদে ডলারের বাই পজিশনের জন্য কোনো ভিত্তি আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট/প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধির উপর নির্ভর করতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। কেবল মার্কিন সেশনের শুরুতে মার্কেটে অপ্রত্যাশিত মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যখন ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছে ইউরোর দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই স্থানীয় পর্যায়ে 1.1571 লেভেলের দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডিং করা যেতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।