আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার আবারও খুব অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে আজ দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আজ মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা প্রথম বা তৃতীয় অনুমানের তুলনায় অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেগুলোর ক্ষেত্রেও মার্কেটে সবসময় শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টটি হয় না। সুতরাং বলা যায়, আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
বৃহস্পতিবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য হলো ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য ক্রিস্টোফার ওয়ালারের বক্তব্য। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে কি না, তা নিয়ে মার্কেটে তীব্র বিতর্ক চলছে। ক্রিস্টোফার ওয়ালার ট্রাম্পের সমর্থক এবং খোলাখুলিভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য, তাই তার বক্তব্যের সুর নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে, এখনো ফেডের মধ্যে পর্যাপ্ত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানধারীদের ভোট নেই যা সুদের হার কমানোর নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবুও, 17 সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির ভারসাম্যে পরিবর্তন হতে পারে।
ডলারের জন্য সর্বোচ্চ ইতিবাচক পরিস্থিতি হবে যদি সেপ্টেম্বর মাসে ফেড মূল সুদের হার না কমায়। তবে এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য খুবই প্রশ্নবিদ্ধ একটি সহায়ক কারণ, কারণ এক্ষেত্রে মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের সুদের হার কমানো সময়ের ব্যাপার, তবে কখন এটি কার্যকর হবে এবং কত দ্রুত এরপরে সুদের হার হ্রাস করা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে এটির সদস্যপদ পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন।
ট্রেডারদের জন্য এখনো বাণিজ্য যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই আমরা মাঝারি-মেয়াদে ডলার কেনার কোনো কারণও দেখছি না। এই সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে 50% করেছেন। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ওপর নির্ভর করতে পারে, যা টেকনিক্যাল কারণ বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট/প্রতিবেদনের প্রভাব হতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে, আবারও টেকনিক্যাল সূচকের ওপর ভিত্তি করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছাকাছি ইউরোর একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে, যা 1.1571-এর দিকে নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্টের ইঙ্গিত দেবে। গতরাতে 1.3518–1.3532 এরিয়ার কাছাকাছি পাউন্ড স্টার্লিংয়ের একটি নতুন সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই পাউন্ডেরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য খুব কম কারণ রয়েছে, এবং আজও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।