আরও দেখুন
মঙ্গলবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলোর সবই গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শুরুর দিকেই ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, এ সপ্তাহে মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা বৃদ্ধি এবং প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর। যদি বেশিরভাগ প্রতিবেদনের ফলাফল একে অপরের বিপরীত হয় বা "নিষ্প্রভ" ফলাফল প্রদর্শন করে, তবে এ সপ্তাহেও মার্কেটে সাইডওয়েজ (ফ্ল্যাট) মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে মুদ্রাস্ফীতি 2%-এ থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা মার্কেটকে তেমনভাবে প্রভাবিত করবে না। তবে ভিন্ন কোনো ফলাফল, বিশেষত পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হলে, তা মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হবে ISM উৎপাদন সংক্রান্ত সূচক প্রকাশিত হবে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচক।
মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু নেই, তবে আগামীকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে তিনি আগস্ট মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। যদি প্রতিবেদনটির ফলাফল "নিষ্প্রভ" হয়, তবে তিনি কোনো মন্তব্য নাও করতে পারেন। ফেডের ক্ষেত্রে, নতুন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য কেবল শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরই আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে FOMC-র অভ্যন্তরে "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মার্কিন ডলারের দরপতনের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এখনও বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের জন্য অন্যতম প্রধান বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যেহেতু আমরা বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না, তাই মার্কেটে মাধ্য-মেয়াদে ডলার ক্রয়েরও কোনো ভিত্তি নেই। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর শুল্কের মাত্রা 50%-এ উন্নীত করেছেন। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রার ক্ষেত্রে কেবল টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন্ন কোনো ইভেন্ট/প্রতিবেদন থেকে স্থানীয় পর্যায়ে দর বৃদ্ধির আশা করা যেতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে; তবে সবকিছুই নির্ভর করবে প্রকাশিতব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর। ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1655–1.1666 এবং 1.1740–1.1750 এরিয়ায় নতুন সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য আবারও 1.3518–1.3532 জোন থেকে বাউন্স করতে পারে, যা নতুন ট্রেডারদের মূল্যের 1.3574-এর উদ্দেশ্যে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেবে। মার্কেটে এখনও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।