আরও দেখুন
বুধবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে মঙ্গলবার যে পরিস্থিতি দেখা গেছে তারপর যৌক্তিকভাবে একটি প্রশ্ন উঠে আসে: ট্রেডারদের কি আসলেই এ ধরনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রয়োজন আছে? গতকাল আমরা মার্কিন ডলারের তীব্র মূল্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি, যার কারণ এখনো ঘটনাপরবর্তী বিশ্লেষণেও ব্যাখ্যা করা কঠিন। ইউরোপীয় অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি এবং মার্কিন ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল পুরোপুরিভাবে উপেক্ষিত না হলেও, অন্তত অনেকটাই গুরুত্বহীন ছিল। তাই আজ প্রকাশিতব্য জুলাই মাসের মার্কিন JOLTS জব ওপেনিংস বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলও সামগ্রিক টেকনিক্যাল চিত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবারের ফান্ডামেন্টাল মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, যেখানে তিনি সদ্য প্রকাশিত আগস্ট মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকলে তার বক্তব্যে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, তাই লাগার্ডের মন্তব্য ইউরোর জন্য কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) একাধিক সদস্য বক্তব্য দেবেন, যারা প্রতিদিন আরও বেশি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের দিকে সরে যাচ্ছেন। তাই ফেডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আমরা মুদ্রানীতি নমনীয় করার বিষয়ে মন্তব্য প্রত্যাশা করছি, যা মার্কিন ডলারের এই অযৌক্তিক দর বৃদ্ধি থামিয়ে দিতে পারে।
ট্রেডারদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ। যেহেতু আমরা কোনো বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনের কোনো ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি না, তাই মার্কেটে মধ্য-মেয়াদে ডলার কেনার জন্য কোনো কারণও নেই। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর শুল্কের হার 50% পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল টেকনিক্যাল কারণ বা নির্দিষ্ট কোনো ঘটনা/প্রতিবেদনের প্রভাবে স্বল্পমাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে, তার বেশি কিছু নয়।
সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে মূলত টেকনিক্যাল চিত্রের ভিত্তিতে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হবে। ইউরোর ক্ষেত্রে, সাইডওয়েজ চ্যানেলের ভেতরে 1.1590 এরিয়া (লোয়ার বাউন্ডারি) পর্যন্ত দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। আর পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্ষেত্রে 1.3331 লেভেল এবং 1.3413–1.3421 এরিয়ার কাছাকাছি সিগন্যাল গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।