empty
 
 
03.09.2025 12:58 PM
ইসিবি আপাতত সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না
গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ইসাবেল স্নাবেল এক বক্তৃতায় বলেছেন যে ইসিবির উচিত সুদের হার বর্তমান স্তরে অপরিবর্তিত রাখা, কারণ এখনও মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সাক্ষাৎকারে এই জার্মান ও হকিশ বা কঠোর অবস্থানের সমর্থক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ব্যাঘাত সত্ত্বেও ইউরোপের অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে, যদিও আগামী কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতির হার পূর্বাভাসের চেয়ে কম হতে পারে। স্নাবেল বলেন, "আমার বিশ্বাস আমরা ইতোমধ্যে একটি মাঝারি নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছি, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার আরও কমানোর কোনো কারণ আমি দেখছি না।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমার মতে, শুল্ক সরাসরি মুদ্রাস্ফীতির কারণ।"

তার এই বক্তব্য ইউরোপীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এসেছে, যেখানে শুধু বাণিজ্য যুদ্ধই নয় বরং অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জও প্রভাব ফেলছে। যদিও তার মন্তব্যে আশাবাদের সুর ছিল, তবে তা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য ঝুঁকিকেও তুলে ধরেছে। প্রত্যাশার চেয়ে কম মূল্যস্ফীতি ভোক্তা চাহিদা ও বিনিয়োগ কার্যক্রমের দুর্বলতার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমিয়ে দিতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ইসিবিকে তাদের মুদ্রানীতিতে আরও স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগও দিতে পারে।

স্নাবেল আরও বলেন যে বাণিজ্য নীতি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি এবং জনগণের বার্ধক্যের কারণে বিশ্বব্যাপী ঋণের খরচ প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত কমতে শুরু করতে পারে। তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আবারও সুদের হার কমানো শুরু করবে—এবং সেটি অনেকের প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত ঘটতে পারে।"

তার এই মন্তব্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার ঠিক দুই দিন আগে এসেছে, যেখানে এক সপ্তাহ ধরে ইসিবির কর্মকর্তা কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে সময়কাল। সেই বৈঠকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঋণের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1655 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল এটিই 1.1685 লেভেল টেস্টের সুযোগ করে দেবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1715 পর্যন্ত বাড়তে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1740-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে আমি কেবল মূল্য 1.1625 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানে কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তবে 1.1605 লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত হবে অথবা 1.1575 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।

অন্যদিকে GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3390 লেভেল নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3430 পর্যন্ত মুভমেন্টের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যদিও মূল্যের এই লেভেলের উপরের অগ্রগতি কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3470 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা 1.3340 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3310 লেভেলের দিকেনামতে পারে এবং পরবর্তীতে 1.3280 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.