আরও দেখুন
বুধবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। মনে করিয়ে দিই যে মঙ্গলবার ব্রিটিশ মুদ্রার তীব্র দরপতন হয়েছিল—যার কারণ হিসেবে অনেক বিশেষজ্ঞ যুক্তরাজ্যের সরকারি বন্ডের ইয়েল্ড বৃদ্ধি রয়েছে বলে ধারণা করছে। আমরা এটিকে যৌক্তিক কারণ মনে করি, তবে একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ডের ইয়েল্ডও বাড়ছে। আর ইয়েল্ডের বৃদ্ধির মানে হচ্ছে যেকোনো বাজেটের উপর অতিরিক্ত চাপ। সুতরাং, যুক্তরাজ্যের বন্ডের ইয়েল্ড বৃদ্ধি ব্রিটিশ অর্থনীতি ও পাউন্ডের জন্য উদ্বেগজনক, সেইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও মোটেও ভালো নয়।
এই সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল জুলাই মাসের JOLTs কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে কর্মসংস্থানের সুযোগ 7.357 মিলিয়ন থেকে কমে 7.181 মিলিয়নে নেমে এসেছে, যেখানে পূর্বাভাস ছিল 7.4 মিলিয়নের উপরে। অর্থাৎ, মার্কিন শ্রমবাজার সংকুচিত হচ্ছে, যা মার্কিন ডলারের ক্রেতাদের জন্য ইতিবাচক নয়। অবশ্যই, শুক্রবার প্রকাশিতব্য শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে মার্কিন শ্রমবাজারের দুর্বলতার প্রবণতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বুধবার বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। 1.3329–1.3331 এরিয়াতে গঠিত প্রথম বাই সিগন্যাল থেকে নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করে বেশ ভালো মুনাফা করতে পেরেছে। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই 1.3413–1.3421 এরিয়াতে উঠে যায়, যেখান থেকে মূল্য প্রাথমিকভাবে রিবাউন্ড করে। এই সময় নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ক্লোজ করে শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারত। তবে সেল সিগন্যালটি ভুল প্রমাণিত হয় এবং এক ঘণ্টার মধ্যেই বাতিল হয়—মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়ার উপরে কনসোলিডেট করে, যা নতুন ও লাভজনক লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করে। সবমিলিয়ে, বুধবার তিনটি ট্রেড থেকে প্রায় 50–60 পিপস উপার্জন করা সম্ভব ছিল।
ঘন্টাভিত্তিক চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বৈশ্বিক নিম্নমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকার প্রবণতা পরিলক্ষিত। সাম্প্রতিক সময়ে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ছিল না, তাই আমরা এখনো মার্কিন ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি না। তবে ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে আবারও এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাই শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রাখতে পারে, কারণ গতকাল মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া ব্রেক করেছে। আজ যদি মূল্য এই এরিয়া থেকে বাউন্স করে, তাহলে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.3466–1.3475-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, 1.3413–1.3421 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেশন হলে সেটি শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে মূল্যের 1.3329–1.3331এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে যে লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে সেগুলো হল: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বৃহস্পতিবার আবারও যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ISM পরিষেবা খাতের PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মনে রাখবেন, সপ্তাহের শুরুতে প্রকাশিত উৎপাদন খাতের PMI প্রতিবেদনে ইতোমধ্যে হতাশাজনক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।