আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে ওঠা শুরু করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1660-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 20 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
মার্কিন শ্রম বিভাগ থেকে প্রকাশিত কর্মসংস্থানের সুযোগ ও শ্রমিক পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা ইউরোর আরও দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। মার্কেটের যেসব ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের ফলাফল নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করেন, তারা এই ফলাফলকে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য মন্থরতার পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচনা করেছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে কর্মক্ষেত্রে খালি হওয়া পদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা শ্রম চাহিদার দুর্বলতার সম্ভাব্য লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একই সঙ্গে, ছাঁটাইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণত কর্মীদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ এবং ভালো কর্মসংস্থানের খোঁজার ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। সবমিলিয়ে, এই বিষয়গুলো মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতির দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
আজ ইউরোজোনে জুলাই মাসের খুচরা বিক্রয় সূচকের পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। খুচরা বিক্রয় সূচকের হ্রাসকে সাধারণত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার পূর্বাভাস হিসেবে ধরা হয়, কারণ ভোক্তা ব্যয় অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা হিসেবে বিবেচিত হয়। ইউরোজোনে, যেখানে বেশ কয়েকটি দেশ এখনো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, ভোক্তা কার্যকলাপের আরও পতন পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে এবং আরও সহায়ক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য ইসিবির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের উপর সম্ভাব্যভাবে পরোক্ষ প্রভাব ফেলবে। যেহেতু খুচরা বিক্রয়ের প্রত্যাশিত হ্রাস ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হচ্ছে, তাই প্রত্যাশার তুলনায় অপ্রত্যাশিত যেকোনো পরিবর্তন—উভয় দিকেই—এই পেয়ারের মূল্যের আরও দৃশ্যমান ওঠানামা সৃষ্টি করতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে নেতিবাচক হয়, তবে ইউরো অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি সূচকটির পতনের মাত্রা ততটা গুরুতর না হয়, তাহলে ইউরোর মূল্য সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1695-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1660-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1695-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1645-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1660 এবং 1.1695-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1645-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1609-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1660-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1645 এবং 1.1609-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।