empty
 
 
09.09.2025 07:09 AM
৯ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার GBP/USD পেয়ারেরও অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং হয়েছে, যদিও এর পিছনে কোনো উল্লেখযোগ্য বা স্থানীয় কারণ ছিল না। অর্থাৎ, সারা দিন যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। তবে, গত শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদনই দীর্ঘ সময়ের জন্য ডলারের দরপতন অব্যাহত রাখার জন্য যথেষ্ট কারণ। মনে করিয়ে দিই: 2025 সালের প্রথম আট মাস জুড়ে, আমেরিকান মুদ্রার দরপতন হয়েছে, এমনকি ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পরেও এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ইতোমধ্যেই তিনবার সুদের হার কমিয়েছে। এখন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে, ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বছরের শেষের আগে আবারও মুদ্রানীতি নমনীয় করার সম্ভাবনা কম, অথচ ফেড বাকি তিনটি বৈঠকের প্রতিটিতেই নমনীয় নীতিমালা অবলম্বন করতে পারে। গত শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের প্রতিবেদন বছরের শেষ নাগাদ তিনবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য গতরাতে 1.3543 লেভেলের উপরে কনসোলিডেট করেছে, যা আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার 5-মিনিটের চার্টে কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। ইউরোপীয় সেশনে, মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়াতে প্রবেশ করে এবং দিনের শেষভাগ পর্যন্ত সেখানেই স্থির থাকে। শুধুমাত্র গতরাতে এই এরিয়ার উপরে কনসোলিডেশন ঘটেছে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, অন্যদিকে হায়ার টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। সুতরাং, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে যে মুভমেন্ট দেখা গেছে, সেটি মূল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার একটি সাময়িক বিরতি ছিল মাত্র। আমরা আগেও বলেছি, মধ্যমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি নেই, তাই আমরা আশা করছি কনসোলিডেশন (ফ্ল্যাট মুভমেন্ট) শেষ হবে এবং আবারও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হবে।

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া ব্রেক করেছে। এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3574–1.3590 এরিয়া। শুধুমাত্র যদি প্রকাশিতব্য ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী হয় তাহলে আজ পাউন্ডের দরপতন হতে পারে।

5-মিনিটের চার্টে এখন আপনি যে লেভেলগুলোতে ট্রেড করতে পারেন: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা স্পষ্টতই গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.