empty
 
 
10.09.2025 07:47 AM
১০ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারেরও নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে দিনের শেষে ব্রিটিশ পাউন্ড ইউরোর তুলনায় অনেক কম দরপতনের শিকার হয়েছে। সুতরাং, ইউরোর তুলনায় পাউন্ডের অবস্থান এখনও অনেক বেশি আশাব্যঞ্জক। চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যদিও গত 12 মাসের সংশোধিত ফলাফল অনুযায়ী মোট ননফার্ম পেরোলের সংখ্যা 911,000 হ্রাস পেয়েছে, এটি ট্রেডারদের খুব একটা বিচলিত করেনি। আমরা বলব, প্রতিবেদনটি মূলত উপেক্ষিত হয়েছে। তবুও, আমরা মনে করি যে অব্যাহতভাবে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফল জমা হচ্ছে। গত দুই মাসে মার্কেটে ভোলাটিলিটি কমেছে, তবে এটি চিরস্থায়ী নয়। আজ হোক বা কাল হোক, মার্কেট "জেগে উঠবে" এবং সাথে সাথে মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এবং নেতিবাচক খবরগুলো প্রভাব বিস্তার করা শুরু করবে। সুতরাং, বর্তমানে মার্কেটে হয়তো সঠিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে না, তবে ডলারের বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণও নেই।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার 5-মিনিটের চার্টে চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। পুরো ইউরোপীয় সেশনে, মূল্য 1.3574–1.3590 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল, তাই নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারত। এরপর 1.3543 থেকে বাউন্স, 1.3574 থেকে বাউন্স এবং 1.3529–1.3543 এরিয়ার ব্রেকআউট ঘটে। আমরা গতকালের দরপতনকে যৌক্তিক মনে করি না; শেষ দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল স্পষ্টতই ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে, এবং হায়ার টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। সুতরাং, ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে সাম্প্রতিক যে মুভমেন্টগুলো দেখা গেছে, তা মূল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার একটি সাময়িক বিরতি মাত্র। আমরা আগেও বলেছি, মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই আমরা ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করছি।

বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, যেহেতু গতকালের দরপতন একেবারেই অযৌক্তিক ছিল। আমাদের বিশ্বাস, আজ মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া ব্রেক করতে পারে, যা এই পেয়ার কেনার সুযোগের সংকেত দেবে। এই এরিয়া থেকে বাউন্স হলে মূল্যের 1.3466–1.3475-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।

5-মিনিটের চার্টে বর্তমানে যেসব লেভেলে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে, যা কেবল মূল ফলাফল ও পূর্বাভাসের মধ্যে বড় ধরনের বিচ্যুতি দেখা গেলেই ট্রেডারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.