আরও দেখুন
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারেরও নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে দিনের শেষে ব্রিটিশ পাউন্ড ইউরোর তুলনায় অনেক কম দরপতনের শিকার হয়েছে। সুতরাং, ইউরোর তুলনায় পাউন্ডের অবস্থান এখনও অনেক বেশি আশাব্যঞ্জক। চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যদিও গত 12 মাসের সংশোধিত ফলাফল অনুযায়ী মোট ননফার্ম পেরোলের সংখ্যা 911,000 হ্রাস পেয়েছে, এটি ট্রেডারদের খুব একটা বিচলিত করেনি। আমরা বলব, প্রতিবেদনটি মূলত উপেক্ষিত হয়েছে। তবুও, আমরা মনে করি যে অব্যাহতভাবে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফল জমা হচ্ছে। গত দুই মাসে মার্কেটে ভোলাটিলিটি কমেছে, তবে এটি চিরস্থায়ী নয়। আজ হোক বা কাল হোক, মার্কেট "জেগে উঠবে" এবং সাথে সাথে মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এবং নেতিবাচক খবরগুলো প্রভাব বিস্তার করা শুরু করবে। সুতরাং, বর্তমানে মার্কেটে হয়তো সঠিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে না, তবে ডলারের বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণও নেই।
মঙ্গলবার 5-মিনিটের চার্টে চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। পুরো ইউরোপীয় সেশনে, মূল্য 1.3574–1.3590 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল, তাই নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারত। এরপর 1.3543 থেকে বাউন্স, 1.3574 থেকে বাউন্স এবং 1.3529–1.3543 এরিয়ার ব্রেকআউট ঘটে। আমরা গতকালের দরপতনকে যৌক্তিক মনে করি না; শেষ দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল স্পষ্টতই ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে, এবং হায়ার টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। সুতরাং, ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে সাম্প্রতিক যে মুভমেন্টগুলো দেখা গেছে, তা মূল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার একটি সাময়িক বিরতি মাত্র। আমরা আগেও বলেছি, মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই আমরা ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করছি।
বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, যেহেতু গতকালের দরপতন একেবারেই অযৌক্তিক ছিল। আমাদের বিশ্বাস, আজ মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া ব্রেক করতে পারে, যা এই পেয়ার কেনার সুযোগের সংকেত দেবে। এই এরিয়া থেকে বাউন্স হলে মূল্যের 1.3466–1.3475-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।
5-মিনিটের চার্টে বর্তমানে যেসব লেভেলে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে, যা কেবল মূল ফলাফল ও পূর্বাভাসের মধ্যে বড় ধরনের বিচ্যুতি দেখা গেলেই ট্রেডারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।