আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্যভাবে নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1752 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা আমার মতে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলেও, ডলার পূর্বের হারানো মূল্য আংশিকভাবে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছিল এবং সক্রিয়ভাবে ট্রেডিং করা থেকে বিরত ছিল। তবে, এমন বিরতি বিভ্রান্তিকর হতে পারে। মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি এখনও একাধিক বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে মার্কিন মুদ্রার উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির সম্ভাবনা নিয়ে চলমান বিতর্ক। এই অনিশ্চয়তা জল্পনা-কল্পনা বাড়াচ্ছে এবং ডলারকে দুর্বল করছে। এছাড়াও, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে এবং তাদেরকে নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আজ ইতালির শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই পরিসংখ্যান EUR/USD-এর উপর প্রভাব বিস্তার করার সম্ভাবনা কম, তবে আপাতত এটিই একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন। ইউরোজোনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করলে, ইতালির শিল্প খাত থেকে যেকোনো ইতিবাচক সংকেত ইউরোকে সহায়তা করবে এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে এটিকে শক্তিশালী করবে। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, হতাশাজনক ফলাফল মার্কেটে উদ্বেগ সৃষ্টি করবে, ইউরোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমাবে এবং এটির দরপতন ঘটাবে। মার্কেটের ট্রেডাররা অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার যেকোনো ইঙ্গিতের প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ইতালির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সামান্য অবনতিতেই ইউরোর উপর চাপ তৈরি হতে পারে। এটি বোঝা দরকার যে, শুধুমাত্র উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি সবসময় স্থায়ীভাবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয় না। শিল্প উৎপাদনের কাঠামো, রপ্তানি অর্ডারের গতিশীলতা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা জরুরি। শুধুমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণের মাধ্যমেই বোঝা যাবে যে ইতালির শিল্প খাত সত্যিই সংকট কাটিয়ে উঠছে কিনা, নাকি এটি কেবল একটি সাময়িক ঘটনা।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1766-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1721-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1766-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1702-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1721 এবং 1.1766-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1702-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1664-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1721-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1702 এবং 1.1664-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।