আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের যথেষ্ট বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে, যা মূলত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে হয়েছে। এখন অনেক ট্রেডার ভাবছেন, যখন মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে (যা সাধারণত ডলারের জন্য ইতিবাচক), তখন কেন আবার ডলারের দরপতন হল? শেষ পর্যন্ত, মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে এর অর্থ হলো ফেডের কাছে মূল সুদের হার আক্রমণাত্মকভাবে কমানোর কারণ কমে যায়। এটা ঠিক, তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে এটি স্পষ্ট ছিল যে ফেডের কাছে বর্তমানে প্রধান অগ্রাধিকার হলো শ্রমবাজারকে সুরক্ষা দেয়া, যা টানা চার মাস দুর্বল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই বছরের শেষ নাগাদ দুইবার সুদের হার হ্রাস কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেছে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে—এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, বিশেষ করে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের সময়, যা যুক্তরাষ্ট্রই শুরু করেছিল। ট্রেডাররা কেবল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনকে সক্রিয় মুভমেন্টের কারণ হিসেবে ব্যবহার করেছে। মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই—মুদ্রাস্ফীতি বেশি হোক বা কম, ফেড যেকোনো অবস্থাতেই মুদ্রানীতি নমনীয় করবে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার তেমন কার্যকর মুভমেন্ট দেখা যায়নি, এবং শুধুমাত্র মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রথম ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া ব্রেক করে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে 1.3574–1.3590 জোনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। এর ফলে সামান্য মুনাফা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, এবং হায়ার টাইমফ্রেমেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই, তাই আমরা পাউন্ডের আরও দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি।
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। 1.3529–1.3543 এরিয়া থেকে বাউন্স হলে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। একইভাবে, 1.3574–1.3590 জোন ব্রেক করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা আরও ত্বরান্বিত হতে পারে। তাই আজ লং পজিশনগুলো প্রাসঙ্গিক থাকবে। যদি মূল্য 1.3529–1.3543 এর নিচে কনসোলিডেট করে শুধুমাত্র তখনই শর্ট পজিশন বিবেচনা করবেন।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যে জুলাই মাসের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এসব প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটে খুব দুর্বল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা মনোভাব সূচকের ফলাফলের প্রভাবে কিছুটা বেশি প্রতিক্রিয়ার আশা করা যেতে পারে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।