empty
 
 
16.09.2025 08:15 AM
১৬ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার কোনো স্থানীয় অনুঘটক ছাড়াই GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। যেহেতু, পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে, তাই নতুন কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলেও পাউন্ডের দর আরও বাড়তে পারে। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে যেমন বুলিশ প্রবণতা বিদ্যমান, দৈনিক টাইমফ্রেমেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি দুর্বল। এই সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাদের মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে, যেখানে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ফেড একাধিকবার সুদের হার কমাতে পারে, যেখানে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের তা করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকবে, এবং আগের মতোই, কেবল টেকনিক্যাল কারেকশন থেকেই এটির মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেশন ঘটলে আরেক দফা টেকনিক্যাল কারেকশনের সূচনা হতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার দুটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, এবং উভয়টিই কার্যকর করা সম্ভব ছিল। প্রথমে মূল্য 1.3574–1.3590 এরিয়া ব্রেক করেছিল, এরপর সেখান থেকে বাউন্স করে ঊর্ধ্বমুখী হয়। যদি আজ যুক্তরাজ্যে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক না হয়, তাহলে পেয়ারটির মূল্য 1.3643 পর্যন্ত বাড়তে পারে। ভোলাটিলিটি এখনও কম রয়েছে, তবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডের বৈঠক নির্ধারিত থাকায় চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, এবং হায়ার টাইমফ্রেমে "2025 সালের প্রবণতা" পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাইয়া যাচ্ছে। আগের মতোই, আমরা মাঝারি মেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি দেখছি না, তাই পাউন্ডের আরও মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি।

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, যেহেতু 1.3574–1.3590 এরিয়া সফলভাবে ব্রেক হয়েছে। নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3643–1.3652 এরিয়া। সেল সিগন্যালও বিবেচনা করা যেতে পারে, কারণ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বেশ দুর্বল এবং এর মধ্যে কারেকশনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব, চাকরির আবেদন এবং মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবুও এগুলোর ফলাফল মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর ফলাফল কেবল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হলে মার্কেটে ভোলাটিলিটি বাড়তে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.