empty
 
 
18.09.2025 07:11 AM
১৮ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং সম্পূর্ণভাবে মৌলিক পটভূমির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। দিনের প্রায় পুরোটা সময় মার্কেটের মুভমেন্ট অত্যন্ত দুর্বল ছিল, কারণ ট্রেডাররা ফেডের বৈঠকের ফলাফল এবং জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলনের অপেক্ষায় ছিল। দিনের অন্যান্য ইভেন্টগুলো অপ্রাসঙ্গিক ছিল, যদিও যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল—এইবার নির্মাণ খাত থেকে। ফেডের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর মার্কেটে "আতশবাজি" ফোটা শুরু হয়। যেমনটি আমরা সতর্ক করেছিলাম, ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বেড়ে যায় এবং এই পেয়ারের মূল্য দুই দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। প্রথমে ডলারের দর 10 মিনিটে 70 পিপস কমে যায়, এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে 100 পিপস বৃদ্ধি পায়। আজ দিনেরবেলা এই পেয়ারের মূল্যের পুনরায় 1.1851-এর আশেপাশের প্রাথমিক অবস্থানে ফিরে আসতে পারে, কারণ ফেড সবচেয়ে মৌলিক এবং ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত দৃশ্যপটই বাস্তবায়ন করেছে। এই কারণেই আমরা সবসময় বলি যে ফেডের বৈঠকের মতো ইভেন্ট বিশ্লেষণ করতে হলে অন্তত একদিন পর সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত, যখন আবেগপ্রবণ মুভমেন্টগুলো স্থিতিশীল হয়।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বুধবার মার্কেটে এন্ট্রি করার কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। যদি দিনের প্রথমার্ধে একটি কার্যকর সিগন্যাল গঠিত হতো, তাহলে সেটি ব্যবহার করে ট্রেড করা যেত, আর ফেডের বৈঠকের আগে স্টপ লস ব্রেকইভেনে সরিয়ে নেওয়া যেত। তবে কোনো কার্যকর সিগন্যাল দেখা যায়নি। নতুন ট্রেডাররা কেবলমাত্র ইউরোপীয় সেশনে 1.1851 লেভেলের নিচে কনসোলিডেশন থেকে কাজ করতে পারত।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে গতকালের দরপতনের পরও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন ডলারের জন্য মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি নেতিবাচক রয়ে গেছে, তাই আমরা এখনো মার্কিন মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না। আমাদের মতে, আগের মতোই, ডলারের মূল্যের কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের ওপর নির্ভর করা যেতে পারে। ফেডের বৈঠকের ফলাফল ডলারের পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি।

বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, যেহেতু এখনো বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। 1.1808 লেভেল থেকে (যদি রিবাউন্ড ঘটে) লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, যার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1851 এবং 1.1908। শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক হবে যদি মূল্য 1.1808 লেভেলের নিচে কনসোলিডেট হয়, তখন লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1737–1.1745।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1737–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। বৃহস্পতিবার ইউরোজোনে ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরেকটি ভাষণ নির্ধারিত রয়েছে, তবে এটি ট্রেডারদের কাছে তেমন একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে কেবলমাত্র স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আজ মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডারদের মনোযোগ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের দিকে থাকবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.