empty
 
 
19.09.2025 07:44 AM
১৯ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার সন্ধ্যার পর শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবারও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যদিও আমরা মনে করি এই মুভমেন্টের পেছনে কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। ভেবে দেখলে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ইউরোর দরপতনের জন্য কোনো কারণ ছিল না, তেমনি ডলারের দর বৃদ্ধির জন্যও কোনো কারণ ছিল না। তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটে, যা ইউরোও দরপতন ঘটায় নিচে। অথচ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাউন্ডের দরপতনের কোনো শক্তিশালী কারণ ছিল না—ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি অপরিবর্তিত ছিল এবং পূর্বাভাসের সাথে মিলে গেছে, বেকারত্বের হারও স্থিতিশীল ছিল এবং প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। ফেডের বৈঠকের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। যদি একটি শব্দে সেই বৈঠকের ফলাফল চিহ্নিত করা হয়, তবে সেটি হবে "ডোভিশ বা নমনীয়।" তাই বাস্তবে, বুধবার সন্ধ্যায় ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার কথা ছিল। আমাদের মতে, এই পেয়ারের বর্তমান দরপতন কেবল আরেকটি টেকনিক্যাল কারেকশন—এর বেশি কিছু নয়। অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন নিশ্চিত করছে যে এমনকি স্বল্পমেয়াদেও বুলিশ প্রবণতা অটুট রয়েছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার তিনটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল এবং আরও দুটি সিগন্যাল গঠিত হয়নি। প্রথম সিগন্যালটি 1.1808 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত হয়েছিল, যা ভুল ছিল, তবে মূল্য সঠিক দিকে 15 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছিল, তাই এখানে কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। এরপর একই লেভেলের কাছাকাছি একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়, এবং এক্ষেত্রে মাত্র দুই পিপসের ব্যবধানে মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল—তাই সেখানে চাইলে বিক্রি করার কথাও ভাবা যেত। কিছুক্ষণ পরে আরেকটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যার পর মূল্য প্রায় 1.1745 লেভেলে পৌঁছেছিল—মাত্র 6 পিপস বাকি ছিল। তিনটি ট্রেডের মধ্যে দুটি লাভজনক ছিল এবং একটি ব্রেক ইভেনে শেষ হয়েছিল।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবারের দরপতন সত্ত্বেও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে এখনও নেতিবাচক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি বিরাজ করছে, তাই আমরা এখনো দৃঢ়ভাবে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না। আমাদের মতে, আপাতত মার্কিন মুদ্রার মূল্যের কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের ওপর নির্ভর করার সুযোগ রয়েছে। ফেডের বৈঠকের ফলাফল ডলারের পূর্বাভাসে কোনো পরিবর্তন আনেনি।

শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, কারণ সামগ্রিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। 1.1808 লেভেল থেকে বা 1.1737–1.1745 এরিয়া থেকে নতুন ট্রেডাররা পুনরায় এই পেয়ার ক্রয় করতে পারেন, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1851 এবং 1.1908। এই পেয়ারের বিক্রয় প্রাসঙ্গিক হবে কেবল তখনই, যদি মূল্য 1.1737–1.1745 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1655–1.1666। সেক্ষেত্রে বিয়ারিশ প্রবণতা দেখা যাবে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে পর্যবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1737–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। শুক্রবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই আজ সম্ভবত শান্ত ও পরিমিত মুভমেন্ট দেখা যাবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.