empty
 
 
19.09.2025 08:10 AM
১৯ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট EUR/USD পেয়ারের মতোই ছিল—অথবা বলা ভালো, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের প্রতিফলন ছিল। দিনের প্রধান ইভেন্ট ছিল ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক। বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত ছিল, যদিও বুধবার সন্ধ্যাতেও পাউন্ডের দরপতনের জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ ছিল না। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাদের আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রেখেছে এবং উল্লেখ করেছে যে মূল মুদ্রাস্ফীতি মন্থর হচ্ছে এবং মজুরি প্রবৃদ্ধি কমছে—যা সূক্ষ্মভাবে ইঙ্গিত দেয় যে এ বছর আরেকবার নীতিমালা নমনীয়করণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকতে পারে। তবে আমরা আসলেই মুদ্রাস্ফীতির মন্থর হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। যুক্তরাজ্যে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি এক বছর ধরে বাড়ছে এবং এটি 2%-এর তুলনায় 4%-এরই অনেক বেশি কাছাকাছি রয়েছে। মূল্য মুদ্রাস্ফীতি 3.4% থেকে 3.6% এর মধ্যে ওঠানামা করছে, যেখানে গত এক বছরে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। মজুরি প্রবৃদ্ধি মন্থর হচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত এটি মুদ্রাস্ফীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। আমাদের বিশ্বাস, বর্তমান ভোক্তা মূল্য সূচকের হার অনুযায়ী ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক আরেকবার সুদের হার হ্রাস করার সম্ভাবনা খুবই কম।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, এবং সবগুলোই লাভজনক ছিল। প্রথমে এই পেয়ারের মূল্য 1.3590 লেভেল থেকে বাউন্স করে, এরপর 1.3643–1.3652 এরিয়া থেকে বাউন্স করে, তারপর 1.3529–1.3543 এরিয়াতে নেমে যায়। তিনটি ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল। মোটের ওপর, নতুন ট্রেডাররা দুটি ট্রেড ওপেন করতে পারত এবং এই ট্রেডগুলো থেকে প্রায় 100–110 পিপস লাভ করতে পারত।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে স্থিতিশীল হয়েছে, তাই কয়েক সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর এখন একটি নতুন টেকনিক্যাল কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগেও যেমনটি বলেছি, আমরা মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কোনো মৌলিক কারণ দেখছি না, তাই সামগ্রিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা এখনো কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টেরই প্রত্যাশা করছি। দৈনিক চার্ট বর্তমান প্রবণতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করছে।

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া থেকে বাউন্স করলে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে। তবে এই এরিয়া ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে শর্ট পজিশন নেওয়া যেতে পারে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3466–1.3475।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে এখন যে লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে সেগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটির ফলাফল মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে জন্য আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.