আরও দেখুন
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1767 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। দ্বিতীয়বার 1.1767 লেভেল টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয় এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 30 পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।
গতকাল ইউরোর উপর বিক্রেতাদের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা কেবলমাত্র সামান্য কারেকশনের মধ্যেই সীমিত ছিল, যা মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তৃতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। আগামী মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইসিবি সুদের হার বৃদ্ধির পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে, অন্যদিকে ফেডের বাড়তি সতর্ক অবস্থান ইউরোর পক্ষে আকর্ষণীয় সুদের হারের পার্থক্য তৈরি করছে, যা মূলধন প্রবাহকে উদ্দীপিত করছে এবং ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টিতে সহায়তা করছে। তাছাড়া, ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি, বিশেষত পরিষেইবা, ইউরোকে অতিরিক্ত স্থিতিশীলতা প্রদান করছে।
আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোনের উৎপাদন, পরিষেবা খাত সংক্রান্ত এবং কম্পোজিট PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল দেখা যায়, বিশেষত উৎপাদন খাতে, তাহলে ইউরোর আরও মূল্য বৃদ্ধি সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কারণ PMI সূচক ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি নেতৃস্থানীয় সূচক হিসেবে কাজ করে। উৎপাদন খাতের প্রতিবেদনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সাপ্লাই চেইন বিঘ্নতা, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং বৈদিশিক চাহিদার দুর্বল হওয়ায় সংগ্রাম করছে। যদি উৎপাদন সংশ্লিষ্ট PMI প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যায় এবং 50-এর উপরে থাকে, তাহলে এটি পুনরায় উৎপাদন বৃদ্ধির সূচনা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির সংকেত দেবে। ইতিবাচক ফলাফল বিনিয়োগকারীদের ইউরোজোন অর্থনীতির প্রতি আস্থা বাড়াতে পারে, পুঁজি প্রবাহকে আকর্ষণ করতে পারে এবং ইউরোর চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারে, যা বিশেষত মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। বিপরীতে, প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং এটির দরপতন ঘটাতে পারে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিবেচনায়, PMI প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোর মূল্যের স্বল্পমেয়াদি মুভমেন্টের সম্ভাবনা নির্ধারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2-এর উপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1844-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1807-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1844-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1779-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1807 এবং 1.1844-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1779-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1743-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1807-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1779 এবং 1.1743-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।