empty
 
 
24.09.2025 10:10 AM
২৪ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সারাদিন স্থির ছিল, যদিও যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। মনে করিয়ে দিই, গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলই প্রকাশিত হয়েছিল। অন্ততপক্ষে আরও দুর্বল ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল। তবে, এই সপ্তাহে পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল দেখিয়েছে। ফলে, গতকাল ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের যথেষ্ট কারণ ছিল। মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রেও কারণ ছিল, কারণ মার্কিন ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকগুলোও মন্থরতার ইঙ্গিত দিয়েছে। ডলারের দরপতন না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, এই সূচকগুলোর স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন (কারণ যুক্তরাষ্ট্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ISM সূচক প্রকাশিত হয়), তবে যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত সূচকগুলোর ফলাফল ট্রেডাররা উপেক্ষা করেছে—এটি হয়তো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পাউন্ডের দরপতন শেষ হয়েছে। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে, তবে এখনো কোনো ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়নি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার 1.3529–1.3543 লেভেলে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই মূল্য 10–20 পয়েন্ট পর্যন্ত নিম্নমুখী হয়েছিল, তবে সারাদিন মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম ছিল। সুতরাং সমস্যাটি সিগন্যাল নয়, বরং মুভমেন্টের অভাব। সিগন্যাল তৈরি হতে পারে, কিন্তু যদি মুভমেন্ট না থাকে, তবে কোনো মুনাফা করাও সম্ভব নয়।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করেছে, তাই কয়েক সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পর নতুন করে টেকনিক্যাল কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, মধ্যমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি আমরা দেখছি না, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। দৈনিক চার্ট স্পষ্টভাবে বর্তমান প্রবণতাটি প্রদর্শন করছে।

বুধবার GBP/USD পেয়ারের দরপতন পুনরায় শুরু হতে পারে। 1.3529–1.3543 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হলে সেটি নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেবে, যেখানে মূল্য 1.3466–1.3475 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। বাস্তবে, এরকম বেশ কয়েকটি রিবাউন্ড ইতোমধ্যেই হয়েছে। নতুন লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে যদি মূল্য 1.3529–1.3543 লেভেলের উপরে পৌঁছায়, যেখানে মূল্য 1.3574–1.3590 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করে করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। তাই ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছু থাকবে না, যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। কোনো কার্যকর মুভমেন্ট ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক অস্থিরতার মাত্রা আবারও কম থাকতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.