empty
 
 
25.09.2025 08:38 AM
২৫ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

আবারও হঠাৎ করে GBP/USD পেয়ারের তীব্র দরপতন ঘটেছে। গতকাল কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তবে গত দুই দিনে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের প্রধানদের বক্তব্য ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনকে প্রভাবিত করে থাকতে পারে। আমাদের মতে, বেইলি বা পাওয়েলের বক্তব্যে কোনো সমস্যা ছিল না, বরং ট্রেডাররা তাদের মন্তব্যকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে সেটাই মূল সমস্যা। উদাহরণস্বরূপ, অনেকের ধারণা পাওয়েল আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের "দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন।" হয়তো তিনি তা করেছেন—কিন্তু ফেড কখনোই প্রকৃত অর্থে সেই দরজা খোলেনি। বিনিয়োগকারীরা নিজেই এমন কাহিনি তৈরি করেছে এবং পরে হতাশ হয়েছে। একই বিষয় অ্যান্ড্রু বেইলির মন্তব্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর কেবল বলেছেন যে মুদ্রাস্ফীতি কমলে মূল সুদের হার আরও হ্রাস করা যেতে পারে। ট্রেডাররা এটিকে "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত হিসেবে নিয়েছে, অথচ যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি গত এক বছর ধরে বাড়ছে এবং এখন তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ পর্যায়ে রয়েছে। তাই এই পেয়ারের দরপতন মূলত ট্রেডারদের নিজের মনমতো তথ্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার ফল।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বুধবার রাতেরবেলা একটি কার্যকর সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশন শুরুর সময় পর্যন্ত সিগন্যাল গঠিত হওয়ার জায়গা থেকে মূল্য মাত্র 9 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছিল, তাই তখন শর্ট পজিশন ওপেন করাটা যৌক্তিক ছিল। পরে মূল্য 1.3466–1.3475 এরিয়া ব্রেক করে এবং মাত্র 4 পিপসের ব্যবধানে 1.3421 লেভেলে যেতে পারেনি। যেকোনো ক্ষেত্রে, নতুন ট্রেডারদের কাছে শর্ট পজিশন মুনাফার সাথে ক্লোজ করার জন্য যথেষ্ট সময় ও সুযোগ ছিল।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে স্থির হয়েছে, যা কয়েক সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পর একটি সম্ভাব্য টেকনিক্যাল কারেকশনের সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। আমরা আগেই বলেছি, ডলারের শক্তিশালী দর বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি নেই, তাই আমরা মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করছি। দৈনিক চার্টে বর্তমান প্রবণতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের দরপতন পুনরায় শুরু হতে পারে। 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড হলে সেটি নতুন শর্ট পজিশন ওপেনের সুযোগ দেবে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3413–1.3421 লেভেল। যদি মূল্য 1.3466–1.3475 এর উপরে পৌঁছায় তাহলে লং ট্রেড বিবেচনা করা যেতে পারে, যার লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3529–1.3543 লেভেল।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে: দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি (চূড়ান্ত অনুমান) এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.