empty
 
 
26.09.2025 07:49 AM
২৬ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করার পর পুনরায় নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক মুভমেন্ট ছিল। প্রবণতা এখন বিয়ারিশে পরিবর্তিত হয়েছে, তাই দরপতনই প্রত্যাশিত। তবে, বৃহস্পতিবারের দরপতন কেবল টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কারণেই ঘটেনি। মার্কিন সেশনে আমরা যেসব প্রতিবেদনের দিকে নজর দিতে বলেছিলাম সেগুলো প্রকাশিত হয়: ডিউরেবল গুডস অর্ডার এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান। উভয় প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডার ও বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল, যা ডলারের মূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে উদ্দীপিত করেছে। সুতরাং, স্থানীয় পর্যায়ে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার যথেষ্ট ভিত্তি ছিল; তবে বৈশ্বিক পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদে মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারের বিপক্ষে কাজ করছে। মনে করিয়ে দিই, অনেক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, আর ফেড পুনরায় আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা শুরু করেছে, যা ডলারের জন্য শক্তিশালী বিয়ারিশ ফ্যাক্টর।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এটি পুরো ইউরোপীয় সেশন জুড়ে গঠিত হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য 1.1737–1.1745 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করেছে। মাত্র প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে মূল্য 1.1655–1.1666 জোনে পৌঁছে গেছে। হঠাৎ করে দরপতন শুরু হওয়ায় শর্ট পজিশনে দ্রুত এন্ট্রি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যারা এতে সফল হয়েছেন তারা প্রায় 30–40 পিপস মুনাফা অর্জন করেছেন।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে বৈশ্বিক পর্যায়ে EUR/USD পেয়ারের একটি নতুন কারেকশন শুরু হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের সহায়তায় হয়েছে। তবে সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য নেতিবাচক, তাই আমরা এখনো ডলারের শক্তিশালী দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না। আমাদের দৃষ্টিতে, আগের মতোই মার্কিন মুদ্রার কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের উপর নির্ভর করা যেতে পারে—যার একটি আমরা বর্তমানে লক্ষ্য করছি।

শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে; তবে উল্লেখযোগ্য হলো, বৃহস্পতিবার এই দরপতনের জন্য শক্তিশালী কারণ ছিল, কিন্তু আজ তা নাও থাকতে পারে। তাই আজ শুক্রবার যেকোনো দিকে মুভমেন্ট হতে পারে, এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আবারও ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1737–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। শুক্রবার ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে, সেইসাথে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স এবং মার্কিন PCE মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যেগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা লাগার্দের বক্তব্যে তেমন কিছু আশা করছি না, তবে মার্কিন সূচকগুলোর ফলাফল ডলারের বিনিময় হারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.