আরও দেখুন
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবারও 1.3107 লেভেল ব্রেক করার চেষ্টা করে, যেখান থেকে মূল্য তৃতীয়বারের মতো বাউন্স করেছে। তবে ট্রেডাররা এখনো হাল ছাড়েননি এবং আজ চতুর্থবারের মতো এই পেয়ারের মূল্যকে উল্লিখিত লেভেলের নিচের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাম্প্রতিক মুভমেন্টকে "বৈপরীত্যপূর্ণ" অভিহিত করে সবচেয়ে ভালোভাবে বোঝানো যেতে পারে। আপাতত পাউন্ডের দরপতনের জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ নেই, তবুও প্রায় প্রতিদিনই এটির মূল্য কমছে। সোমবার মার্কিন ডলারের জন্য যেটুকু কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, সেটিও ভালো ফল প্রদর্শন করেনি। তাই শুধুমাত্র ঐ প্রতিবেদন বিবেচনায় নিলে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেত। আমরা লক্ষ্য করছি যে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান নিম্নমুখী প্রবণতার বিপরীতে তেমন কোনো কারেকশন হয়নি। এটি নির্দেশ করে যে পাউন্ড প্রায় প্রতিদিনই কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়াই দরপতনের শিকার হয়েছে, এবং কোনো রিবাউন্ড বা কারেকশনও ঘটছে না। আমরা এখনও এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান মুভমেন্টকে সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করছি এবং স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখন মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্ন সীমানায় অবস্থান করছে। এর ফলস্বরূপ, একটি বাউন্স এবং এই পেয়ারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি তুলনামূলকভাবে কার্যকর বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে একটি বাউন্সের ফলে গঠিত হয়েছিল। এই সিগন্যাল গঠনের পর এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 30 পিপস পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হয়, যা দিনের মোট অস্থিরতা (প্রায় 50 পিপস) বিবেচনায় বেশ ভালো। যদিও কম হলেও, এই সিগন্যাল থেকে কিছুটা মুনাফা করার সুযোগ ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হতে শুরু করেছিল, কিন্তু তা খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই ব্রিটিশ পাউন্ড আবারও দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। আগেও বলা হয়েছে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য এখন আর কোনো প্রযুক্তিগত বা মৌলিক ভিত্তি নেই, তাই মাঝে-মধ্যে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে আমরা প্রত্যাশা করছি।
তবে, দীর্ঘমেয়াদে মার্কেটে মূল্যের 'ফ্ল্যাট রেঞ্জে' অবস্থান করার বিষয়টি প্রভাব ফেলছে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা রয়ে গেছে—যেটি এক কথায় পুরোপুরিভাবে অযৌক্তিক পরিস্থিতি প্রতিফলন।
মঙ্গলবার নতুন ট্রেডাররা স্বাচ্ছন্দ্যে 1.3102-1.3107 এরিয়ার মধ্যে ট্রেড করতে পারেন। স্মরণ করিয়ে দিই, এটি শুধুমাত্র মূল্যের একটি এরিয়া নয়, বরং দৈনিক টাইমফ্রেমে সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিচের সীমানাও। এখানে একটি উল্লেখযোগ্য বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে যদি মার্কেটে এই পেয়ার ক্রয়ের প্রবণতা না দেখা যায়, তাহলে কোনো উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টও দেখা যাবে না।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590, এবং 1.3643-1.3652। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তাই আজ মার্কেটে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা বৃদ্ধির আশা করার মতো কিছু নেই। এর অর্থ হলো, এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতাভিত্তিক উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের সম্ভাবনাও কম থাকবে।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।