আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3055-এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ড বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.3015-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে হ্রাস পায়।
যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক আরেকবার কর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর পাউন্ডের দরপতন হয়। গতকাল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেছেন যে আগামী বছরের প্রত্যাশিত নতুন বাজেটের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত ন্যায্য হবে। এই খবরটি তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের ঢেউ তুলেছে। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া বেশ দ্রুত ছিল। বর্ধিত করের বোঝার মধ্যে ব্রিটিশ অর্থনীতির সম্ভাবনার প্রতি আস্থার অভাবের ইঙ্গিত দিয়ে প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে। কোম্পানিগুলো উদ্বিগ্ন যে ক্রমবর্ধমান কর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের অবনতি ঘটাবে। নতুন বাজেট ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য গুরুতর আঘাতে পরিণত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আর্থিক খাতে নতুন পদক্ষেপের জন্য অপ্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে, এটি ইতোমধ্যেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া, কেয়ার স্টারমারের বক্তব্য কেবল আগুনে ঘি ঢালছে, যার ফলে কর বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রায় অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
আজকের দিনটি ব্রিটিশ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হবে, কারণ যুক্তরাজ্যে অক্টোবরে পরিষেবা খাতের জন্য PMI প্রতিবেদন, সেইসাথে কম্পোজিট PMI সূচক প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সূচকগুলি ব্যবসায়িক পরিস্থিতি এবং দেশটির সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিফলিত করে। বিশেষ করে পরিষেবা খাতের PMI সূচক বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি ব্রিটিশ অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। ৫০ পয়েন্টের উপরে মান এই খাতের প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে, যেখানে ৫০ পয়েন্টের নিচের মান সংকোচনের ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, কম্পোজিট PMI সূচক পরিষেবা এবং উৎপাদন খাত উভয় প্রতিবেদন একত্রিত করে ফলাফল প্রদ্ররশন করে, যা যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে আরও ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করতে এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ভবিষ্যত মুদ্রানীতিগত দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করতে এই সূচকগুলোর ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3066-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3038-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3066-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3015-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3038 এবং 1.3066-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3015-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল অতিক্রম করার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2983-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ যেকোনো সময় পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3038-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3015 এবং 1.2983-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।