আরও দেখুন
বুধবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য স্থির ছিল। যদি বুধবার মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকত, তাহলে সেটি অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হতো, কারণ ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী মৌলিক কারণ বিদ্যমান ছিল—যেমন ISM সার্ভিস অ্যাকটিভিটি সূচক এবং ADP থেকে প্রকাশিত শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় ইতিবাচক ছিল। তবে বর্তমানে মার্কেটে পরিলক্ষিত মুভমেন্টের খুবই সামান্য পরিমাণ যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা রয়েছে। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, বর্তমানে মার্কেটের মুভমেন্টগুলোর উপর সামষ্টিক ও মৌলিক অর্থনৈতিক উপাদানের প্রভাব অত্যন্ত কম। বর্তমানে পুরোপুরিভাবে টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলছে। আমরা যে পরিস্থিতি দেখছি তা হলো: সোমবার ও মঙ্গলবার ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে কোনো কারণ ছিল না, তবুও এটির মূল্য বেড়েছে। অন্যদিকে, বুধবার ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে যথেষ্ট কারণ ছিল, তবুও তা দরপতনের শিকার হয়েছে। আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এবং এর ফলে মার্কেটে যেকোনো রকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, যা আজকের দিনটিতে এই পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার দিনের মধ্যে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা সবই 1.3043 লেভেলের কাছাকাছি সেল সিগন্যালই নির্দেশ করেছে। এই লেভেল থেকে মূল্য তিনবার বাউন্স করেছে এবং প্রতিবারই প্রায় ২০ পিপস কমে। এর ভিত্তিতে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন, তবে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম ছিল। তবে যেহেতু প্রতি বারে এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপস করে সঠিক দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, তাই এই ট্রেডগুলোতে কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি বলেই ধরা যায়। পরে রাতের দিকে এই পেয়ারের মূল্য 1.3043 লেভেল ব্রেক করে গেছে, যা লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন একটি নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। বর্তমানে, খুব সামান্য কারণেই ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটছে। আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি, ডলারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার জন্য এখনো কোনো ভিত্তি নেই; তাই মধ্যমেয়াদে আমরা কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতারই প্রত্যাশা করছি। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার প্রবণতা সক্রিয় রয়েছে, সেটি এই পেয়ারের মূল্যকে নিম্নমুখী রাখছে, যা একেবারেই অযৌক্তিক একটি পরিস্থিতি।
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা রাতের বাই সিগন্যাল কাজে লাগিয়ে লং পজিশন হোল্ড করে রাখতে পারেন অথবা 1.3043 লেভেলের আশপাশে নতুন কোনো বাই সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। এবারের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3102-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3043 লেভেলের নিচে কনসোলিডেট করে, তাহলে শর্ট পজিশনের কথা বিবেচনায় আনা যেতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.2993-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে: 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, এবং 1.3574–1.3590। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বর্তমানে কারেন্সি মার্কেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন গুলোর প্রতি খুব বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।