empty
 
 
10.11.2025 08:24 AM
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১০ নভেম্বর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবারেও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। প্রথম যে কথা মনে আসে তা হলো—ডলারের মূল্যের মোমেন্টাম থেমে গেছে। গত দেড় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে শক্তিশালী কোনো কারণ ছিল না। আমরা বলছি না যে, ডলারের মূল্য অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, এবং দৈনিক টাইমফ্রেমেও এমন কোনো প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে না। তবে মার্কিন মুদ্রার মূল্য এমন সময় বেড়েছে, যখন এর দরপতন ঘটলেও মার্কেটে কোনো প্রশ্ন উঠত না। গত দেড় মাস ধরে ট্রেডাররা প্রায় সবকিছুই উপেক্ষা করেছে: ফেডারেল রিজার্ভের নমনীয় অবস্থান, পহেলা অক্টোবর শুরু হওয়া এবং এখনো চলমান মার্কিন সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থা, ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত নতুন শুল্ক, এবং শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানের অনুপস্থিতি। এখন হয়তো ট্রেডাররা এই দিকগুলো নানা দিক দিয়ে মূল্যায়ন শুরু করতে পারে। 2025 সালে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যাশিত, তা এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে এবং দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য 1.1400–1.1830 রেঞ্জের নিম্নসীমার কাছাকাছি নেমে এসেছে। অর্থাৎ, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে যা দেখেছি, তা মূলত টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কারণেই ঘটেছে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো কোনো ট্রেন্ডলাইনের অস্তিত্ব নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সমাপ্তি ঘটেছে—এমন কোনো স্পষ্ট নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেটি ফরেক্স মার্কেটের কার্যসপ্তাহের একেবারে শেষের দিকে গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.1571–1.1584 এরিয়ার কাছ থেকে বাউন্স করে, যার ফলে শর্ট পজিশন ওপেন করা সম্ভব হয়। তবে আমাদের দৃষ্টিতে, উইকেন্ডে মার্কেটে ট্রেডিং সেশন শেষ ঠিক আগে এ ধরনের ট্রেড ওপেন করা যুক্তিসঙ্গত ছিল না। যদি কোনো নতুন ট্রেডার এই সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেড করে থাকে, তবে বর্তমানে তারা মুনাফার মধ্যে থাকতে পারে এবং চাইলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে পারে।

সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে সেটি শিগগিরই শেষ হতে পারে। মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অত্যন্ত নেতিবাচক রয়েছে। তাই একমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেই ইউরোর দরপতন ঘটতে পারে—তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার প্রবণতা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। আমরা আশা করছি, এই পরিস্থিতির সমাপ্তি ঘটবে এবং 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে।

সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1527–1.1531 এবং 1.1571–1.1584 এরিয়ায় মধ্যে ট্রেড করার সুযোগ পেতে পারে। আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায়, এই পেয়ারের মূল্যের অনেকটাই দুর্বল মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য মূল লেভেলগুলো হলো 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, এবং 1.1970-1.1988। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোন—এই দুই অঞ্চলে কোনো আকর্ষণীয় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। সেই কারণেই, আজ শক্তিশালী বা আকর্ষণীয় কোনো মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.