empty
 
 
11.11.2025 08:35 AM
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১১ নভেম্বর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার মূলত সাইডওয়েজ রেঞ্জে ট্রেড করেছে এবং এই পেয়ারের মূল্য গুরুত্বপূর্ণ 1.1584 লেভেল ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হতে ব্যর্থ হয়েছে। নীতিগতভাবে, সোমবারে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশিত ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মূল অর্থনৈতিক অঞ্চলে কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং সকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত "শাটডাউন" শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মার্কেটে কোনো প্রভাব ফেলেনি। "শাটডাউন" শেষ হওয়ার ঘোষণাতেও মার্কেটে কোনো উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি, যেমনটি প্রায় দেড় মাস ধরে শাটডাউন সক্রিয় থাকলেও মার্কেটের ট্রেডাররা তা উপেক্ষা করে এসেছিল। স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, গত দেড় মাসে মার্কিন ডলারের মূল্যের মাঝারি মাত্রার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে, যা মৌলিক পরিস্থিতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। তাই আমরা মনে করি, "শাটডাউন" শেষে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি "শাটডাউনের" সময় ডলারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশাও অযৌক্তিক ছিল। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, ডলারের অবস্থা এমন হওয়া উচিত ছিল যে EUR/USD পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই 1.2000-এর ওপরে অবস্থান করত, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোনো উন্নতি হয়নি। তবুও, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা (স্থবির এবং দিকনির্দেশনাবিহীন মুভমেন্ট) বজায় রয়েছে, ফলে ভবিষ্যতেও এই রেঞ্জের মধ্যে বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 রেঞ্জের মধ্যে দুইবার রিবাউন্ড করে, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ সৃষ্টি করে। দৈনিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের মোট ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা ছিল প্রায় ৪০ পিপস, তাই উল্লেখযোগ্য মুনাফা প্রত্যাশিত ছিল না। তবে, এই সিগন্যাল থেকে প্রায় ২০ পিপস মুনাফা করা সম্ভব ছিল। আজ নতুন সিগন্যাল গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে এটি শিগগিরই শেষ হতে পারে। সামগ্রিকভাবে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য নেতিবাচক। ফলে, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, ইউরোর আরো কিছুটা দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে – কারণ দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে। তবে আমরা আশা করি, এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের অবস্থান করার প্রবণতার অবসান ঘটবে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে।

মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা আবার 1.1527-1.1531 এবং 1.1571-1.1584 রেঞ্জ থেকে ট্রেড করতে পারেন, কারণ এই পেয়ারের মূল্য এখনও এই রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করছে। আজকের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দুর্বল থাকবে, ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রাও কম থাকতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, এবং 1.1970-1.1988। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। অন্যদিকে, ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে আরেকটি বক্তব্য দেবেন এবং ZEW ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। এই ইভেন্ট ও প্রতিবেদন মার্কেটে কেবলমাত্র সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.