empty
 
 
12.11.2025 07:32 AM
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১২ নভেম্বর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও গতকাল কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। মনে করিয়ে দিই, সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে চলমান 'শাটডাউন' এই সপ্তাহেই শেষ হতে পারে—যা মার্কিন ডলারের জন্য সহায়ক হওয়া উচিত ছিল। তবে ডলার টানা দুই দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে, যা বর্তমানে মার্কেটে অযৌক্তিক মুভমেন্টের ইঙ্গিত দিচ্ছে—মূলত দৈনিক টাইমফ্রেমে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের কারণে এই অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে। গতকাল জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে দুটি অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হয়েছে। ইউরোপীয় সূচকের ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় খানিকটা ইতিবাচক ছিল, আর জার্মানির সূচকের ফলাফল অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছিল। ফলে ইউরোর মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পেছনে কোনও শক্তিশালী মৌলিক কারণ নেই। তবে এটিও মনে রাখা দরকার যে অক্টোবর ও নভেম্বরের শুরুতে মার্কিন ডলার খানিকটা অযৌক্তিকভাবে শক্তিশালী হয়েছিল। যদি বৈশ্বিক কারণসমূহ ও মধ্যমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করা হয়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের যেকোনো রকম মূল্য বৃদ্ধি (অর্থাৎ ডলারের দরপতন) যুক্তিযুক্ত এবং স্বাভাবিক, আর বিপরীতে যেকোনো দরপতন কেবল কারেকশনের অংশ এবং এমনটি দৃঢ় ভিত্তির অভাবে ঘটে থাকে। সে কারণেই আমরা আশাবাদী যে অল্প সময়ের ব্যবধানে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও অব্যাহত থাকবে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ারের মূল্য 1.1571–1.1584 রেঞ্জ ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশন ওপেন করার অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তবে সিগন্যাল গঠিত হওয়ার পর এই পেয়ারের মূল্যের আর তেমন দৃঢ় মুভমেন্ট দেখা যায়নি এবং মূল্য আবার পূর্বের 1.1571–1.1584 এরিয়ায় ফিরে আসে। আজ যদি এই লেভেল থেকে নতুন করে রিবাউন্ড হতে দেখা যায়, তাহলে ট্রেডাররা পূর্ববর্তী লং পজিশনই হোল্ড করতে পারবেন।

বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তবে এটি শীঘ্রই শেষ হতে পারে। সামগ্রিকভাবে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের জন্য এখনও বেশ নেতিবাচক। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইউরোপীয় মুদ্রার কিছুটা দরপতন হলেও—দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা বজায় রয়েছে—আমরা এই মন্থর মুভমেন্ট শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

বুধবার নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.1571–1.1584 এরিয়ায় ট্রেডিং করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে রিবাউন্ড হলে পূর্বের লং পজিশন হোল্ড করে রাখা যেতে পারে বা নতুন লং পজিশন ওপেন করা যাবে, যেখানে মূল্যের 1.1655-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1571–1.1584 এরিয়া ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, তাহলে শর্ট পজিশন ওপেন করা যুক্তিযুক্ত হবে, যেখানে মূল্যের 1.1527–1.1531-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। বুধবার ইউরোপে বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। শুধুমাত্র একটি প্রতিবেদন কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে— আর তা হলো জার্মানির অক্টোবর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাক্কলন—তবে এই প্রতিবেদনটির গুরুত্ব বেশ কম এবং মার্কেটে এর প্রভাব সীমিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.