আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামা শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1565 লেভেল টেস্ট করেছিল—যা পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য ১৫ পিপস কমে যায় এবং সেখানেই সেই মুভমেন্ট শেষ হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার খবর ডলারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ঘটালেও, সামগ্রিভাবে নিম্নমুখী প্রবণতা রোধ করতে পারেনি। ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে মুদ্রানীতি আরও নমনীয়করণের প্রত্যাশাই এখনও মার্কিন ডলারের ওপর প্রধান চাপ হিসেবে কাজ করছে।
আজ দিনের প্রথমার্ধেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। জার্মানির GfK কনজ্যুমার ক্লাইমেট ইনডেক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ভোক্তাদের আস্থার প্রতিফলন ঘটায় করে—এবং যার ওপর দেশটির খুচরা বিক্রয় সূচকের গতিবিধি এবং শেষ পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধিও অনেকাংশে নির্ভর করে। এই প্রতিবেদন ইতিবাচক ফলাফল মার্কেটে আশাবাদ তৈরি করতে পারে, এবং তাতে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
বেসরকারি খাতে ঋণপ্রদান ও M3 মানি সাপ্লাই সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকেও আজ দৃষ্টি দেয়া হবে, কারণ এ ধরনের প্রতিবেদনের ফলাফল অর্থনীতিতে লিকুইডিটি প্রবাহ ও ঋণচক্রের গতিশীলতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম জোরালো হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, আর মানি সাপ্লাই বৃদ্ধির অর্থ হতে পারে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
আজ ইসিবির অতীত বৈঠকের উপর ভিত্তি করে প্রকাশিত ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রতিবেদন ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট পরিবর্তনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না, কারণ ইসিবির পক্ষ থেকে নতুন কোনো দিকনির্দেশনার প্রত্যাশা নেই।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি আগের মতোই পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের উপরই নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1641-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1611-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1641-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1595-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1611 এবং 1.1641-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1595-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1565-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1611-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1595 এবং 1.1565-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।