দ্য কুইন
ইতালি, ফ্রান্স, ২০০৬
"দ্য কুইন" স্টিফেন ফ্রেয়ার্স পরিচালিত এবং পিটার মরগান লিখিত একটি বায়োপিক। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় ওয়েলসের রাজকুমারী ডায়ানার মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ার কিভাবে ভেঙে পড়েন। জনসাধারণ রাজপরিবারের কাছ থেকে দুঃখের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শুনতে চায় কিন্তু রানী দ্বিধা করেন। প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বালমোরাল দুর্গে নির্জন রানীকে সতর্ক করেন যে এই ধরনের আচরণ ব্রিটিশরা পছন্দ করবেনা। ছবিতে রানী এলিজাবেথের চরিত্রে অভিনয় করা হেলেন মিরেন সেরা অভিনেত্রীর জন্য অস্কার এবং দুটি গোল্ডেন গ্লোব সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছেন। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হন। ছবিটি বছরের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
দ্য কুইন
যুক্তরাজ্য, ২০০৯
পাঁচ পর্বের এই ডোকুমেন্টারিতে, পাঁচজন অসামান্য ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমিলিয়া ফক্স, সামান্থা বন্ড, সুসান জেমসন, বারবারা ফ্লিন এবং ডায়ানা কুইকপোর্ট্রে রাণীর রাজত্বকালের গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলিতে তাকে চিত্রিত করেছেন। তারা এলিজাবেথের ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক দেখানোর চেষ্টা করেছেন। পরিচালক রাণীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি নিয়ে প্রতিটি পর্বের শুটিং করেছেন: পিটার টাউনসেন্ডের সাথে প্রিন্সেস মার্গারেটের ভালোবাসা, ষাটের দশকের শেষদিকে রিপাবলিকানবাদের উত্থান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং মিসেস থ্যাচারের সাথে তার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক, চার্লস এবং ডায়ানার বিচ্ছেদের পরিণতি এবং রাজপরিবারে ক্যামিলা পার্কার-বোলসের গ্রহণযোগ্যতা। ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, কিছু পর্ব সমালোচকদের কাছে অত্যধিক নাটকীয় মনে হয়েছিল।
এ রয়্যাল নাইট আউট
যুক্তরাজ্য, ২০১৫
এ রয়্যাল নাইট আউট হলো একটি ব্রিটিশ রোমান্টিক কমেডি-ড্রামা ফিল্ম যা পরিচালনা করেছেন জুলিয়ান জারল্ড। গল্পটি রানী এলিজাবেথের কাল্পনিক অ্যাডভেঞ্চার সম্পর্কে বলে যাতে সারাহ গ্যাডন এবং তার বোন মার্গারেথ অভিনয় করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, রাজকন্যারা অফিসারদের সাথে, বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য ১৯৪৫ সালের ৯ মে, রাতে ছদ্মবেশে শহরে গিয়েছিলেন এবং সময়মতো ফিরে এসেছিলেন। ছবিটিতে দেখানো হয়, অনুমতি পাওয়ার পরে, তারা বাকিংহাম প্যালেসে জড় হওয়া লোকজনের ভীড়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন। যাইহোক, পরের দিন সকালে শুধুমাত্র মার্গারেট বাকিংহাম প্যালেসে ফিরে আসেন, এবং তার বোন কোথায় গিয়েছে তার কোন ধারণা নেই।
চলচ্চিত্রের শিরোনামটি উইলিয়াম ওয়াইলারের "রোমান হলিডে" নির্দেশ করে। অনেক সমালোচক উল্লেখ করেছেন যে অভিনেত্রী, যিনি বিস্ফোরক, চপল এবং বিনোদনপ্রেমী মার্গারেট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, দর্শকদের মনোযোগ নিজের দিকে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এলিজাবেথ অ্যাট নাইন্টি: এ ফ্যামিলি ট্রিবিউট।
যুক্তরাজ্য, ২০১৬
এটি রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিনের স্মরণে তৈরি আরেকটি টেলিভিশন ডকুমেন্টারি। পরিচালক, জন ব্রিডকাট, শুধুমাত্র আর্কাইভাল ফুটেজই ব্যবহার করেননি বরং রানীর নিজের, প্রিন্স চার্লস, প্রিন্সেস মার্গারেটের তোলা ভিডিওগুলোও ব্যবহার করেছেন৷ এই ব্যক্তিগত সামগ্রীগুলি কখনই জনসাধারণের কাছে দেখানো হয়নি৷ এগুলি রাজার ব্যক্তিগত সংরক্ষণাগার থেকে নেওয়া হয়েছিল। দেখানো ফুটেজে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের ছবি নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। এই জাতীয় প্রকল্পগুলির সুবাদে, সাধারণ নাগরিক এবং রাজাদের মধ্যে দূরত্ব কিছুটা ঘুচেছে। মানুষ এখন তাদের শীতল এবং রহস্যময় মুখোশ ছাড়াই প্রকৃত মানুষ হিসাবে দেখে। সমালোচকরা ডকুমেন্টারিটি সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
দ্য ক্রাউন
যুক্তরাজ্য, প্রথম সিজন (৬ পর্ব), ২০১৬
নেটফ্লিক্সের এই ঐতিহাসিক ড্রামা সিরিজের চিত্রনাট্যও লিখেছেন পিটার মরগান।
সিরিজটি শুরু হয় এলিজাবেথের প্রিন্স ফিলিপের সাথে বিবাহের মধ্য দিয়ে, যেটি হয়েছিল রাজ্যাভিষেকের ৫ বছর আগে। ক্লেয়ার ফয় প্রথম ২ সিজনে রানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তৃতীয় এবং চতুর্থ সিজনের জন্য, অলিভিয়া কোলম্যান রানীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এলিজাবেথ নিজেই প্রথম সিজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। দ্বিতীয়টি, যা প্রিন্স এডওয়ার্ডের জন্মের সাথে শেষ হয়েছিল, তাকে হতাশ করেছিল। এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে চতুর্থ সিজন। ইমেল্ডা স্টাউনটনের সাথে পঞ্চম সিজন ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রচার করা হবে। ষষ্ঠটি ১৯৯০ দশকের শেষের দিক থেকে - ২০১০ এর দশকের প্রথম দিকের ঘটনা বর্ণনা করবে।
"দ্য ক্রাউন" উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুরষ্কার জিতেছে, যার মধ্যে রয়েছে ৭টি গোল্ডেন গ্লোব, ১০টি এমি অ্যাওয়ার্ড, ইত্যাদি। সমালোচকরা টিভি শোটিকে পরিচালনা, অভিনয়, সিনেমাটোগ্রাফির পাশাপাশি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ঐতিহাসিকভাবে সঠিক চিত্রায়নের জন্য সিরিজটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বিশ্বস্ত ভ্রমণ বিষয়ক পর্যালোচনার জন্য সুপরিচিত টাইম আউট ম্যাগাজিন সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় স্থান পেয়েছে এমন সব স্থাপত্যকীর্তি, যা কেবল স্থপতিদের নয়, সাধারণ ভ্রমণকারীদের মনেও বিস্ময় জাগায়। চলুন টাইম আউটের বাছাই করা অসাধারণ স্থাপনাগুলো দেখে নিই।
পৃথিবীতে খাবার উপযোগী দুই হাজারেরও বেশি ধরনের ফল রয়েছে। তবে এসব ফলের খুব অল্প কয়েকটিই সাধারণ মানুষ চেনে। বাকি ফলগুলো দুর্লভ, অদ্ভুত স্বাদের, অস্বাভাবিক গঠনের কিংবা ব্যতিক্রমী ঘ্রাণের—যেগুলোর দেখা আপনি কোনো সুপারমার্কেটে পাবেন না। কিছু ফল গভীর দুর্গম জঙ্গলে জন্মে, আবার কিছু ফলের দাম এক কেজি ট্রাফল মাশরুমের চেয়েও বেশি। এই প্রতিবেদনটিতে আমরা এমন সাতটি বিস্ময়কর ফল তুলে ধরেছি, যেগুলোর স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য অভিজ্ঞ খাদ্যরসিককেও চমকে দিতে পারে।
বিশ্বের খুব কম দেশই নিউজিল্যান্ডের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যকে টেক্কা দিতে পারে। এই দেশে আদিম বনভূমি ও ফিয়র্ড, ভূ-তাপীয় উষ্ণ প্রস্রবণ ও বরফে ঢাকা সাউদার্ন আল্পসের অপূর্ব মিলন ঘটেছে—যেখানে হিমবাহ নেমে এসে মিলেছে সবুজ উপক্রান্তীয় জঙ্গলে। দেশটি তাদের অনন্য মাওরি ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে অত্যন্ত যত্নশীল। এখানে আমরা তুলে ধরছি ছয়টি স্থান, যা নিউজিল্যান্ডে গেলে একেবারেই মিস করা উচিত নয়।
