মাইকেল প্ল্যাট
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে শীর্ষে আছেন ব্লুক্রেস্ট ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মাইকেল প্ল্যাট। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় $১৯ বিলিয়ন, যা তাকে কেবল ব্রিটেন নয়, বিশ্বের শীর্ষ ১১০ ধনীর মধ্যে স্থান করে দিয়েছে। একসময় জেপি মরগ্যানে ট্রেডার হিসেবে কাজ করলেও প্ল্যাট ২০০০ সালে ব্লুক্রেস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং এটি আজ বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি হেজ ফান্ডগুলোর একটি, এটির কার্যালয় লন্ডন ও বিশ্বের বিভিন্ন শহরে অবস্থিত।
জেমস র্যাটক্লিফ
এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্যার জেমস র্যাটক্লিফ রসায়ন শিল্পের জায়ান্ট ইনিওস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মালিক। তার সম্পদের পরিমাণ $১৬.৬ বিলিয়ন এবং তিনি বিশ্বব্যাপী বিলিয়নিয়ার তালিকায় ১৩১তম অবস্থানে রয়েছেন। জ্বালানি ও রাসায়নিক খাতে ইনিওস একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান, যারা শেল গ্যাসে জোরালোভাবে বিনিয়োগ করছে এবং একাধিক অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০২১ সালে তারা BP-এর দুটি ডিভিশন অধিগ্রহণ করে। এছাড়া র্যাটক্লিফ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের ২৮% মালিক।
জেমস ডাইসন
এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন স্যার জেমস ডাইসন—যিনি একজন প্রকৌশলী, উদ্ভাবক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাইসনে প্রতিষ্ঠাতা। সুপারসনিক হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্টাইলার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, হ্যান্ড ড্রায়ার এবং এয়ার পিউরিফায়ারের জন্য বিখ্যাত এই ব্র্যান্ডটি বর্তমানে $১৫ বিলিয়নের মালিক। ১৯৯১ সালে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি বিশ্বজুড়ে ৫,০০০ এর বেশি প্রকৌশলীকে একত্র করেছেন। ২০০৭ সালে ব্রিটিশ শিল্পক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাকে নাইটহুড দেওয়া হয়।
রিউবেন ব্রাদার্স
ডেভিড এবং সায়মন রিউবেন—এই ভাইয়েরা তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তারা রিয়েল এস্টেট, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো খাতে প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী, এবং প্রত্যেকের সম্পদের পরিমাণ প্রায় $১৩.১ বিলিয়ন। তাদের ধনসম্পদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ধাতু ও কার্পেট বাণিজ্য দিয়ে, পরে তারা রিয়েল এস্টেট ও ডেটা সেন্টারে মনোনিবেশ করেন। ২০১৬ সালে তারা চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রায় $৩ বিলিয়নে গ্লোবাসসুইচের ৪৯% বিক্রি করেন। বর্তমানে তারা নিউক্যাসল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের ১৪% মালিক, যা ২০২১ সালে অধিগ্রহণ করা হয়।
ক্রিস্টোফার হোন
দ্য চিলড্রেন্স ইনভেস্টেমেন্ট ফান্ডের (TCI) প্রতিষ্ঠাতা স্যার ক্রিস্টোফার হোন এই তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। তিনি বৈশ্বিক আর্থিক অঙ্গনে অন্যতম প্রভাবশালী অ্যাকটিভিস্ট ইনভেস্টর। তার সম্পদের পরিমাণ $৯ বিলিয়ন। তিনি সাউথ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড থেকে এমবিএ করার পর ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০৩ সালে TCI চালু করেন, যা আগ্রাসী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও কর্পোরেট নীতিতে প্রভাব বিস্তারে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালে দাতব্য কাজ ও বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদানের জন্য তিনি নাইটহুড পান।
আপনি কি কখনও ভেবেছেন, আপনার জীবনের প্রথম এক মিলিয়ন ডলার পেলে কী করবেন? কেউ কল্পনা করেন সমুদ্রের ধারে একটি বিলাসবহুল ভিলা, কেউবা স্বপ্ন দেখেন সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর। কিন্তু যারা বাস্তবেই সেই প্রথম এক মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন, তারা কী করেছিলেন? চলুন জেনে নিই, যাঁদের সম্পদের পরিমাণ আজ বিলিয়ন ডলারের উপরে, তাঁদের প্রথম বড় অর্থের গন্তব্য কী ছিল।
২০২৫ সালের অন্যতম আলোচিত ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে লাবুবু। এই খেলনাগুলো অল্প সময়ে শুধু শিশুদের মধ্যেই নয়, সংগ্রাহকদের মাঝেও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিরল মডেলগুলো হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে, এবং নিলামে এগুলো নিয়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এই প্রতিবেদনে আমরা পাঁচটি সবচেয়ে দামি লাবুবু ফিগার তুলে ধরছি, যেগুলো ইতোমধ্যে নতুন মালিকের হাতে পৌঁছেছে এবং সংগ্রহযোগ্য জগতের ব্যাপক মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে জ্বালানি বাজারে যে ধাক্কা এসেছিল, তা ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে এসেছে। কিন্তু এই ধরনের বিশৃঙ্খলা যে আবারও ফিরে আসবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে, ব্লুমবার্গের বিশ্লেষকরা তেলের বাজারের গতি প্রকৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।
