empty
 
 
02.05.2025 11:38 AM
মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক হতে পারে

এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাত্রা সম্ভবত ধীর হয়েছে, যদিও বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে — যা শ্রমবাজারের ইতিবাচক কিন্তু স্বল্প চাহিদার ইঙ্গিত দেয়। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্য নীতি শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করছে। গত মাসের শুরুতে আরোপিত নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার পর এটি হবে প্রথম প্রতিবেদন, যেটিতে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব প্রতিফলিত হতে শুরু করবে।

এপ্রিল মাসে ননফার্ম পেরোল 138,000 পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মার্চ মাসের প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ফলাফলের পর পূর্বাভাস দেইয়া হয়েছে। বেকারত্বের হার 4.2% থাকারই পূর্বাভাস রয়েছে।

This image is no longer relevant

উল্লেখ্য, মার্কিন শ্রম দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিতব্য এটিই প্রথম প্রতিবেদন হবে, যেটি ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক শুল্ক আরোপের পর প্রকাশিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি তৈরিতে ব্যবহৃত জরিপগুলো এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সম্পন্ন হয়েছে, যখন ট্রাম্প একদিকে কিছু শুল্ক স্থগিত করেছিলেন, অন্যদিকে চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বাড়িয়েছিলেন — যার ফলে বড় ও ছোট উভয় ধরনের ব্যবসার মধ্যে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায়।

অভিবাসন এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধিনিষেধ আগামী মাসগুলোতে পেরোলের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ এপ্রিলের প্রতিবেদনে এর খুব বেশি প্রভাবের প্রত্যাশা করছেন না। এছাড়াও, মৌসুমি কারণগুলোর কারণে এপ্রিল মাস সাধারণত তুলনামূলকভাবে সহায়ক হয় — বিশেষ করে পরিষেবা খাতে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়ার ফলে।

শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য অবনতি মে মাসে দৃশ্যমান হতে পারে। ৬ জুনে প্রকাশিতব্য মে মাসের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে লজিস্টিকস, লেজার এবং হসপিটালিটি খাতে নিয়োগের আরও তীব্র মন্থরতা দেখা যেতে পারে।

সাধারণভাবে, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ঐতিহাসিকভাবে কম থাকবে — যা 4.2%-এ থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো, কোভিড-পরবর্তী শ্রমিক ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার পর কোম্পানিগুলো হয়তো খরচ কমিয়ে কর্মীদের ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পাশাপাশি, গত গ্রীষ্ম থেকে অভিবাসনের তীব্র হ্রাসের ফলে শ্রমবাজারে প্রবেশকারীর সংখ্যা কমে গেছে — যা শ্রমচাহিদা দুর্বল করলেও বেকারত্ব বৃদ্ধি ঠেকাতেও সাহায্য করছে।

বারক্লেস পিএলসির অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, "আমরা এখনো মনে করি মধ্য-মেয়াদে বেকারত্বের হারের নিম্নমুখীতা বজায় থাকবে, যেখানে অভিবাসন নীতিমালাই শ্রম সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।" "তবে, আমরা মনে করি যে ভবিষ্যতের প্রান্তিকগুলোতে শ্রমচাহিদার পতন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এই প্রভাবকে কিছুটা ভারসাম্য এনে দেবে।"

সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের অর্থনীতিবিদরাও একই মত পোষণ করেন, যারা প্রত্যাশা করছেন যে সম্মিলিত পূর্বাভাসের তুলনায় কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি কম হবে — যা প্রায় 105,000-এর মতো হতে পারে।

ফেডারেল রিজার্ভ শ্রমবাজার পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ উদ্বেগ বেড়েছে যে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। নীতিনির্ধারকরা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য দু'দিনব্যাপী বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ

বর্তমানে, ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে 1.1337 লেভেল ব্রেক করা। কেবল তখনই 1.1386 লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এরপর পেয়ারটির মূল্য 1.1437 লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সমর্থন ছাড়া মূল্যের এই লেভেল পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1487। যদি ইনস্ট্রুমেন্টটির দরপতন হয়, তাহলে আমি 1.1265 লেভেলের কাছাকাছি শক্তিশালী ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি সেখানে প্রতিক্রিয়া না দেখা যায়, তাহলে 1.1215-এর নতুন লো অথবা 1.1185 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রির কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ

পাউন্ড ক্রেতাদের জন্য তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো 1.3315 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। কেবল তখনই মূল্যের 1.3354 লেভেলের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে — যার উপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3394 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা 1.3280 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের এই রেঞ্জ ব্রেক ব্রেক করে নিচের দিকে যেয়ে ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে এবং পেয়ারটির মূল্য 1.3250 এবং পরবর্তীতে 1.3205 লেভেলের দিকে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.